১২ বছরে ঢাবির কোন ভিসিকে পদ ছাড়তে হয়নি কেন, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের (ভিডিও)

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দেশে কোন আমলে অন্যায় হয়নি? এরশাদের আমলে হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর আমলে হয়েছে, বিএনপির আমলেও হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ হয়েছে। ২০০২ সালে শামসুন নাহার হলে জঘন্যতম পুলিশি আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তৎকালীন ভিসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদায় নিতে হয়েছে। আর গত ১২ বছরে এই আমলে কিছু হয়েছে? কোন ভিসিকে পদ ছাড়তে হয়েছে?

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের বাংলাদেশ ভাবনা-২০২১’ শীর্ষক উন্মুক্ত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন তিনি। পুরানো পল্টনে প্রিতম জামান টাউয়ারে সংগঠনটির কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। 

অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, এই আমলে ডাকসু ভাবনে হামলা হয়েছে। এজন্য কি ভিসিকে পদ ছাড়তে হয়েছে? ছাত্ররা রক্তাত হয়েছে, সেজন্য ছাড়তে হয়েছে? ঢাবির সব হলে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধের জন্য কাউকে পদ ছাড়তে হয়েছে?

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির আমলে জঘন্যতম সব অন্যায় হয়েছে। জাতীয় পার্টির আমলে ভুয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণ রুখে দাঁড়িয়ে এরশাদকে পদত্যাগে বাধ্যা করেছিল। ১৯৯৬ সালে বিএনপি জঘন্য নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে তাদেরকে বিদায় করা হয়েছে। আর গত ১২ বছর ধরে দেশে অদ্ভুত ও অস্বাভাবিক নির্বাচন হচ্ছে। আগের রাতে ভোট হয়ে যাচ্ছে। এতো বড় একটা অন্যায়ের সঙ্গে আমরা সহবাস করা শিখে গেছি। এতো বড় অন্যায়কে আমরা মেনে নিচ্ছি। আর এটা হচ্ছে দেশের সকল অন্যায়ের সূতিকাগার।

অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। দলীয়করণের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না। মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরী হিসেবে আমরা এটা হতে দিতে পারি না।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নইম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ