‘মাইনাসের রাজনীতি’ বলছেন জবি ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা

সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা
সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা  © টিডিসি ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটিকে পকেট কমিটি উল্লেখ করে বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন শাখা ছাত্রদলের ১০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

এসময় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান সাগর বলেন, ‘২৪ এর জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা হয়েছে। সেই সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রদলের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’ 

তিনি বলেন, ‘কিন্তু গতকাল ২৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরে সিনিয়র থেকে জুনিয়র পর্যায়ের সকল ত্যাগী ও হামলা-মামলার শিকার নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করে অছাত্র, ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্বারা এবং বিপ্লবোত্তর সময়ে রাজনীতিতে আসা হাইব্রিডদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে যারা জীবন বাজি রেখেছেন তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে ১১তম ব্যাচ (২০১৫-১৬ সেশন) কে ইচ্ছাকৃতভাবে পদবঞ্চিত করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের আমলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সকল কার্যক্রম, হরতাল-অবরোধ সমাবেশ সহ সকল প্রোগ্রামের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১১তম আবর্তনের, রাজপথের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ১১ব্যাচ ছিল সম্মুখবাদী।’

তারা জানান, ২৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৫-১৬ সেশনকে বাদ দিয়ে তারা যে মাইনাসের রাজনীতি কায়েম করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তা অত্যন্ত ঘৃণিত কর্মকাণ্ড ও ন্যক্কারজনক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৫-১৬ সেশনের অনেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সোনালি সময় বন্ধু- বান্ধব শিক্ষার্থী সহপাঠীদের সাথে উপভোগ করে কাটাতে পারেনি। অধিকাংশই লুকিয়ে ক্লাস করেছেন। ২৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১৫- ১৬ সেশন সম্মুখ সারিতে থেকে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। ২০১৬ সাল থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল মিথ্যা মামলার হাজিরা, এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম আবর্তনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সকল ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে যে পরিচিত মুখগুলো রাজপথে ছিল তাদেরকে আজ যেভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে তা সত্যি দুঃখজনক, যা তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পতাকাতলে আসতে নিরুৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. রায়হান হোসেন অপু , সাবেক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সাইফ শাহিন, সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান খান সাগর, ছাত্রনেতা ইমরান হোসাইন, বাবলী আক্তার সাথী, আমানত উল্লাহ হৃদয় সহ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অনেক নেতাকর্মী।


সর্বশেষ সংবাদ