ইসকন ইস্যুতে ইনকিলাব মঞ্চের হুঁশিয়ারি

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি রিপোর্ট

চট্টগ্রামে সমাবেশ, উসকানিমূলক বক্তব্য, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আল্টিমেটাম বেঁধে দেওয়ায় ইসকনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।  

এসময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। অথচ এই ইসকন আওয়ামী লীগের আমলে সামান্য বিবৃতিটিও দেয়নি। ইসকন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট স্থানে তাদের বড় বড় সমাবেশ গুলো করছে, দাবি তুলছে। এর মাধ্যমে মূলত তারা একটা জিনিস হাসিল করতে চায়। মাইনোরিটি সাপ্রেশন হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে তারা মূলত আমেরিকাকে ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে আনার চেষ্টা করে চলছে। 

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ইস্যুতে তিনি বলেন, সকল সমাবেশে তারা  স্লোগান ব্যবহার করছেন "জয় শ্রীরাম"।  অসংখ্য হিন্দু ভাইবোনদের মাঝখানে বড় হয়েছি, বাসার আশেপাশে সবসময় দুর্গা কিংবা কালী মন্দির দেখেছি। কখনো রামচন্দ্রের মন্দির দেখিনি, জয় শ্রীরাম স্লোগানও শুনিনি। বিগত ১৬ বছরে জয় শ্রীরাম স্লোগানকে নর্মালাইজ করার চেষ্টা চলছে ইসকনের মাধ্যমে। 

‘এই স্লোগান তুলেই বিজেপি অসংখ্য মুসলমান নরনারী হত্যা করেছে। এটা ভারতের একটা মুসলিম নিধনের পলিটিক্যাল স্লোগান।  বর্তমান বাংলাদেশে মূলত ‘জয় শ্রীরাম’,‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের সমার্থক। ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেই ব্যাংক লুট করা হয়েছে, মানুষকে খুন করা হয়েছে, জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। একইভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ বলেও একই কাজ করা হয় ভারতে। সুতরাং এটি একটি অপরটির সমার্থক।’

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসকনের দেখানো পথেই আমরা আইনি প্রশ্ন তুলতে চাই। ইসকনের প্রতিষ্ঠা হয় আমেরিকায়। নানা দেশে তাদের শাখা আছে, কার্যক্রম আছে। সেই হিসেবে তারা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এনজিও কখনো পলিটিক্স করতে পারবে না। 

‘ঢাকা ঘেরাও করতে চাওয়া, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের বিরুদ্ধে সভা করে কথা এবং দাবি তোলা সেটা কি এদেশের রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কেউ করতে পারে? এটা কি একটি এনজিও করতে পারে? এনজিও না হলে ইসকন কি রাজনৈতিক নাকি ধর্মীয় সংগঠন এটা তাদেরকে পরিষ্কার করতে হবে। তাদের সকল  অর্থনৈতিক উৎস জনসম্মুখে আনতে হবে।’ 

ইসকনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে, নানা সময় সিলেটে ও সাভারে ১৩ কোটি টাকা হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দিয়েছে। প্রকাশ্যেই যদি এত টাকা তারা দেয় গোপনে কত দেয় তা সহজে অনুমেয়। এই ঢাকারই সনাতনীরা অভিযোগ করে,  ইসকন তাদের জমির জাল দলিল তৈরি করে জমি  দখল করে থাকে। সরকারের কাছে জানতে চাই ইসকন কোন আইনে কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করার সুযোগ পেল! সরকারকে অবিলম্বে স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে ইসকন নিয়ে। আর সরকার যদি এইসকল পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা আইনের পথে হাঁটবো, আদালতে রিট করব।


সর্বশেষ সংবাদ