আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহর গ্রেপ্তারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ PM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ PM
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে ‘আব্দুল্লাহর চামড়া তুলে নেব আমরা’ ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, বিচার চাই বিচার চাই’, ‘জবাব চাই জবাব চাই, দিতে হবে দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ বিক্ষোভ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দোরদের অন্যতম একজন ড. আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ। গত জুলাই থেকে যে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সে আন্দোলনে হামলার প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা তিনি। আন্দোলনে হামলার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছেন আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন: ট্রাস্টি হিসেবে এসে বিশ্ববিদ্যালয় দখল আইবিএ পরিচালক ড. ইউসুফের
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক থাকাকালে দিনে পর দিন আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে গেছেন। দুর্নীতি করার জন্য তিনি কখনোই ব্যাংকের মাধ্যমে দেনদেন করতেন না। আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ দুটি ইউনিভার্সিটি দখল করে নিয়েছেন।
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ আমরা আলটিমেটাম দিচ্ছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি, তার দোরসদের বিদায় করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। আমরা মাঠে আছি, থাকব। ফ্যাসিস্ট যেখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইবে সেখাই প্রতিহত করা।’
আরও পড়ুন: মুচলেকা দিয়ে ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন ঢাবির আইবিএ পরিচালক ড. ইউসুফ
অভিযোগ আছে, অনেকটা জবর-দখল করে বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান হন আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠাকালীন বোর্ড কব্জায় নিয়ে নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়েছেন নতুন ট্রাস্টি বোর্ড।
এর আগে, জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ এনে ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে গত ১০ জানুয়ারি মামলা করে আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আবু ইউসুফ।