আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা জবি ছাত্রলীগ নেতার

আন্দোলনের শুরু থেকেই মারমুখী অবস্থানে ছিল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনের শুরু থেকেই মারমুখী অবস্থানে ছিল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।  © টিডিসি ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম। 

রবিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন তিনি। শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান হামিম দাবি করেন, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা দেন তিনি। যখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটের পূর্ব পাশে আসেন, তখন কোটা আন্দোলনকারীদের ব্যানারে থাকা ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী তাঁর মুঠোফোন পরীক্ষা করেন। পরে তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আরও ৫ মামলা, নাম উল্লেখ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জনের

এজাহারে তিনি দাবি করেন, একপর্যায়ে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা অমানবিক নির্যাতন করে স্টিলের পাইপ, রড দিয়ে তাঁর মাথায়, পিঠে, হাতে, কোমরে, বুকেসহ শরীরে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্য তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সিঁড়িতে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পরে আবারও অমর একুশে হলের গেস্টরুমে নিয়ে তাঁকে নির্যাতন করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে রিকশায় তুলে দেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। 

মফিজুর রহমান হামিম বলেন, আমি চানখাঁরপুলে যাওয়ার পর ৫০-৬০ জন আন্দোলনকারী আমার বাইক থামায়। তারা আমার ফোন চেক করে। চেক করার সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মারা শুরু করে। আমার গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। পরে সেখান থেকে ১০-১২ জন আমাকে অমর একুশে হলের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা দেড় ঘণ্টা পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় কোনো হল প্রভোস্ট, শিক্ষক আসেননি আমাকে বাঁচাতে।

এ বিষয়ে অমর একুশে হলের প্রভোস্ট ইশতিয়াক সৈয়দ বলেন, অমর একুশে হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছিল। আমিসহ প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে বেশ কয়েকজনকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলাম।


সর্বশেষ সংবাদ