ইউনূস ইস্যু

ঢাবি শিক্ষকদের রুচি নিয়ে ভাবা উচিত: নুর

  © সংগৃহীত

সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জনের খোলা চিঠির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সেখানে এই চিঠি বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ বলে দাবি করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দাঁড়িয়ে ড. ইউনূসের নোবেল প্রত্যাহারের দাবি জানান, তাদের রুচি নিয়ে ভাবা উচিত।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘বিচারিক হয়রানি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনুস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, রাজনীতিতে ভালো, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক মানুষগুলো এগিয়ে না আসার কারণে অসৎ, দুর্নীতিবাজ, ধান্দাবাজ ও চাটুকাররাই এ সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাই আমি মনে করি, রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আমাদের দেশের তরুণদের এগিয়ে আসা খুব দরকার।

নুর আরও বলেন, আজ আমরা মিস করছি জাফরউল্লাহ চৌধুরী ভাইকে। তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে বলতেন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা ও ফরমায়েশি রায় দেওয়ার ষড়যন্ত্র করবে, তাদের গলায় গামছা লাগানো হবে। আমরা ড. ইউনূসের গায়ে কলঙ্কের ছাপ লাগতে দেবো না। 

সরকারের উদ্দেশে নুর বলেন, সরকারকে সতর্ক করছি, ড. ইউনূসকে নিয়ে খেলা বা হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমরা তরুণ প্রজন্ম দেশের একজন মেধাবী-গুণী মানুষের পাশে দাঁড়াবো এবং তার পক্ষে সর্বাত্মকভাবে যা করার তাই করবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ