ব্যবসায় মনোযোগী সাকিব, তিন ফরম্যাটে খেলতে অমত
সাকিব আল হাসানকে এখন থেকে ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটে আর নিয়মিত পাবে না বাংলাদেশ। টেস্ট অথবা টি-টোয়েন্টি এর মধ্যে যে কোনো একটি ফরম্যাট থেকে বিরতি নেবেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একাধিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি তার ব্যবসায়ের বিভিন্ন পরিকল্পনার চিত্রও উঠে এসেছে।
মূলত করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টিন ও বায়োবাবলের কারণে হাঁপিয়ে ওঠেছেন তিনি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবার রয়েছে। সেখানে যাওয়া-আসা করতে হয়। সবমিলিয়ে ঠিকভাবে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে তার।
আরও পড়ুন: ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান
তিন ফরম্যাটে খেলা নিয়ে সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমি জানি। আর কোনটাকে প্রাধান্য দিতে হবে সেটাও জানা আছে। এখন সময় এসেছে টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি, এটাই সত্য। আমি আদৌ টেস্ট খেলবো কি না কিংবা খেললেও কীভাবে খেলবো। ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলো পয়েন্ট সিস্টেমে হয় সেখানে আমার খেলা দরকার আছে কি না তাও ভাবার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত অহমে ভোগেন সাকিব
তিনি বলেন, এমনও হতে পারে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে আর খেলবো না। তখন ওয়ানডে আর টেস্ট খেললাম। কিন্তু একসঙ্গে তিনটা সংস্করণে খেলা সম্ভব না। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির সঙ্গে পরিকল্পনা করা জরুরি বলে মনে করেন সাকিব। বলেন, পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আগানোটা বুদ্ধিমানের কাজ। হয়তো জানুয়ারির মধ্যে পরিকল্পনাগুলো করলে পুরো বছরে কী করতে হবে তা জানতে পারবো।
ক্রিকেটের বাইরেও আরও বেশকিছু পরিচয় রয়েছে সাকিবের। ব্যবসা এরমধ্যে অন্যতম। তাইতো খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি ব্যবসায় নাম লিখিয়েও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিয়ে হাতে খড়ি হয় বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের যত অর্জন
পরে একে একে শেয়ারবাজার, স্বর্ণ আমদানি ও বিপণন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগও করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, ক্রিকেট ঠিক রেখে একটা ভালো জিনিস যদি করা যায়, সেটা করতে পারলে আমার ভালো লাগবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, আমার একটা লক্ষ্য আছে। আমি মনে করি সেটা আমার পূরণ করা উচিত। কিংবা মনে হচ্ছে, আমি কখনো না কখনো করতে পারব। সে কারণেই কিছু ব্যবসা শুরু করা। যখন খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে যাবে, এসব আরও বড় আকারে সুন্দর করে করতে পারব। যেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন: কেন বেতন পাননি কাঁকড়া ফার্ম শ্রমিকরা- সাকিবের স্ট্যাটাস
সাকিব আরও বলেন, এটা আমি ফিল করি যে এই কাজটা আমার পক্ষে করা সম্ভব। পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করব। সেই কারণেই আসলে এসব শুরু করা। কথার কথা, যদি কোনোভাবে পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি তার মানে আপনি পাঁচ-দশ হাজার মানুষের পরিবারের দেখাশোনা করছেন। ওটা অনেক বড় ব্যাপার। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, সমাজে বেকারত্ব দূর করার সুযোগ থাকে।