এমন বাংলাদেশই দেখতে চাই: তামিম

বন্যাদুর্গতদের সেবায় এগিয়ে আসছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বন্যাদুর্গতদের সেবায় এগিয়ে আসছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।  © সংগৃহীত

হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। যা গত ৫৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে প্রবল বর্ষণ ও প্রলংঙ্কারী এ বন্যার কোনও আগাম পূর্বাভাস ছিল না। গত ১৮ আগস্ট শুধু নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কথা বলেছিল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। এগিয়ে আসছে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে তোলা হচ্ছে গণত্রাণ। সেখানে যার যে সামর্থ্য আছে সবাই তা দান করছেন। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল প্রশংসা। সারা দেশ যেন এক ঐক্যবদ্ধ পরিবার। কোনো শিশু তুলে দিচ্ছেন তার জমানো ছোট ব্যাংকের টাকা। ভিক্ষুক তার অর্জিত আয় থেকেই দিচ্ছেন কিছু টাকা। শিশুদের উদ্ধার করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বিষয়টির তুমুল প্রশংসা ঝড়েছে জাতীয় দলে খেলা ওপেনার তামিম ইকবালের কণ্ঠেও। 

আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি কোলাজ করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দেন তিনি।

স্ট্যাটাসে তামিম লেখেন, ‘কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘বাংলাদেশ আপনার কাছে কী?’ আমি এই ছবিগুলো দেখিয়ে দেব। কেউ যদি বলে, ‘‘কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?’’ এই ছবিগুলো মেলে ধরব।’

তামিম আরও লেখেন, ‘এরকম আরও অনেক ছবি-ভিডিও গত কয়েক দিনে দেখেছি। অনেক কিছু শুনেছি। এটাই তো আমার দেশ! এমন বাংলাদেশই তো চাই! সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি আর ভালোবাসায় মোড়ানো দেশ। যত বিপর্যয়, তত বন্ধন। যত সঙ্কট, তত সমাধান। যত প্রলয়, তত প্রতিজ্ঞা।’

গতকালও বন্যার্তদের নিয়ে ফেসবুকে সরব ছিলেন তামিম। তখন লিখেছেন, ‘ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালীসহ দেশের আরও অনেক এলাকা বন্যার ভয়াল ছোবলে আক্রান্ত। কঠিন এই সময়ে আমাদের সবার দায়িত্ব দুর্গতদের সহায়তা করা। ব্যক্তিগতভাবে কাকে কার পছন্দ, কাকে অপছন্দ, কার কী মতবাদ, এসব ভাবার সময় এখন নয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে মানুষের পাশে থাকার জন্য।’ 


সর্বশেষ সংবাদ