ক্লাসের ফাঁকে বইমেলা রাজউক কলেজে
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৮:৪৮ PM , আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫৪ PM
রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে ‘ক্লাসের ফাঁকে বইমেলা’। শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আকৃষ্ট করতে ও তাদের সৃজনশীলতা বাড়াতে স্কুল কর্তৃপক্ষ দুইদিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন করেছে। শনি ও রোববার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রাজউকের নিজস্ব ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে মেলাটি চলবে।
শনিবার সকাল দশটায় রঙিন বেলুন উড়িয়ে ও লাল ফিতা কেটে মেলাটির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলী, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও কবি মিনার মনসুর এবং সারাবাংলা ডটনেটের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলী বলেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য, জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে বই। বই মানুষের সামনে জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। নিজেকে পরিবর্তন ও উন্নত করার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের চর্চা করতে হবে, বিশেষ করতে আজকের শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে বই পড়ার বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ও কবি মিনার মনসুর বলেন এই পৃথিবীর ভবিষ্যত দুইটি। একটি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীরা, আরেকটি হচ্ছে বই। বই আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, বই আমাদের সকল জ্ঞান দেবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের সব অভিজ্ঞতা বই এ লিপিবদ্ধ করা আছে। তাই আজকের শিক্ষার্থীদের উচিৎ বইকে আপন করে নেওয়া।
রাজউকের ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম হলে দুই দিনব্যাপী চলবে মেলাটি। মেলাতে আদি প্রকাশন, আগামী প্রকাশনী, পাঞ্জেরী প্রকাশনী, শিখা প্রকাশনীসহ মোট ৩০টি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গল্প, উপন্যাস ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন রকম বই রাখা হয়েছে স্টলগুলোতে। আর শিক্ষার্থীরাও মেলাতে অংশ নিয়েছে উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে। বই কিনতে ও দেখতে স্টলগুলোতে ভিড় করে আছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজউক মডেল কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আসিফ বলেন আমাদের ক্যাম্পাসেই এতগুলো স্টল ও বই দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে মেলাতে এসে পছন্দের বইগুলো দেখতে ও কিনতে পারব। আমি খুবই খুশি।
ক্লাসের ফাঁকে বইমেলা প্রসঙ্গে আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি বলেন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে খুবই ভালো লাগছে। বইমেলার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য স্কুল-কলেজগুলোতেও এমন মেলার আয়োজন করা যেতে পারে। আর এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাশে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময়ই পাশে থাকবে।