বুড়িগঙ্গায় স্কুল শিক্ষার্থীর ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার

ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম
ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম  © সংগৃহীত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার (১০ জুন) সকালে স্বজনেরা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে নৌ-পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ বলেন, গতকাল শুক্রবার বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে মাহিমের মায়ের কাছ থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির মিলাদে যাওয়ার জন্য তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগনের সহপাঠী সামিরের সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। কিন্তু সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।

আরও পড়ুন:ইন্টারনেটে পর্নো দেখেন ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। আজ ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই ৷ সেখানে গিয়ে আমার ভাগনে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিনি।

জানা যায়, নিহত সামির তার মায়ের একমাত্র সন্তান। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে কামরাঙ্গীরচর বাগানবাড়ি নয়াগাঁও এলাকা মায়ের সঙ্গে থাকত। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।

লাশ উদ্ধারের বিষয়ে নৌ-পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার বলেন, আজ সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীরে কাদা লাগানো ছিল। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।


সর্বশেষ সংবাদ