যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষক ডা. অনিন্দা

যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপ লাভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. অনিন্দা নিশাত মৈত্রী। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সম্মানজনক যুক্তরাজ্য সরকারের ফুলফান্ড বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই স্কলারশিপের আওতায় লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে এপিডেমিওলজিতে মাস্টার্সের সুযোগ পাবেন তিনি।

স্কলারশিপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত অনিন্দা নিশাত মৈত্রী বলেন, শেভেনিং বৃত্তি পেয়ে খুব আনন্দিত। একটি প্রতিযোগিতামূলক এবং সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কমিউনিটিতে যোগদান করতে পেরে আমি একেবারে শিহরিত। শেভেনিং থেকে সম্পূর্ণ অর্থায়ন নিয়ে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে এপিডেমিওলজিতে এমএসসি করব। একজন শেভেনার হিসেবে আমার যাত্রার অপেক্ষায় আছি।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি। এর ফলে বিশ্বের পণ্ডিত এবং প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ এবং একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম হবে। যা উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যা সনাক্ত এবং সমাধানে অবদান রাখবে। এছাড়াও ব্রিটিশ ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প এবং সংস্কৃতি অন্বেষণ করতে এটি সাহায্য করবে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন অনিন্দা নিশাত মৈত্রী। বেসরকারি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োস্ট্যাটিক্স ও এপিডেমিওলজিতেও পড়াশোনা করেন। আর আইসিডিডিআরবিতে রিসার্চ প্রশিক্ষার্থীও ছিলেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্সের প্রভাষক যোগ দেন। এর আগে ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পান বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনে ক্যাডারে।

যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপ একটি সম্মানজনক বৃত্তি কার্যক্রম। যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) এবং অংশীদার সংগঠনগুলো এটি প্রতিষ্ঠা করে। যুক্তরাজ্য সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তি প্রোগ্রাম এটি। ১৯৮৩ সালে এই বৃত্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এর আওতায় শেভেনিং স্কলারশিপ ও শেভেনিং ফেলোশিপ দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের দূতাবাস ও হাইকমিশন বৃত্তি নির্ধারণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ