এইচএসসির ফল পর্যালোচনার আবেদন ১৪ হাজার ৬৯২ শিক্ষার্থীর

  © ফাইল ফটো

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ১৪ হাজার ৬৯২ জন পরীক্ষার্থী ফল পর্যালোচনার জন্য আবেদন করেছেন। আজ শনিবার রাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর গণমাধ্যমকে এ খবর জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ১১টি বোর্ডে ১৪ হাজার ৬৯২ জন পরীক্ষার্থী ফল পর্যালোচনার জন্য আবেদন করেছেন। যেহেতু এবার পরীক্ষা হয়নি, তাই উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। আবেদন করা পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরিতে কোনো ভুলত্রুটি ছিল কি না, সেটি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, সেটি সংশোধন করা হবে। না হলে আগের ফলই থাকবে।

তবে এর মধ্যেই বরিশাল বোর্ড নিজ থেকেই অন্তত দুজন পরীক্ষার্থীর ফল সংশোধন করেছে। তাঁদের একজন সুমী খানম। তিনি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে প্রথম ঘোষিত ফলে পান জিপিএ-৪ দশমিক ৭৫। বিষয়টি সুমীর এক স্বজন বোর্ড কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যমকেও অবহিত করেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে বরিশাল বোর্ড কর্তৃপক্ষ ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফল সংশোধন করে।

এদিকে জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয় ‘ম্যাপিং’ (বিষয়ভিত্তিক নম্বর গণনা) করে ফল তৈরির কারণে ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি। কিন্তু আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়েও ১৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, ওই ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী কেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি, সে বিষয়টি তাঁরাও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। মূলত বিষয় ‘ম্যাপিংয়ের’ কারণেই এটি হয়েছে। এরপরও কেউ পর্যালোচনার আবেদন করে থাকলে সেটি পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। তাঁদের মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।

এরপরও ফল নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে পর্যালোচনার (রিভিউ) সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হয়। আজ আজ শনিবার আবেদনের শেষ সময়।


সর্বশেষ সংবাদ