প্রশংসা কুড়াচ্ছেন জবি ছাত্রী পারিসা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৯ AM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৯ AM
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ধাওয়া করে দুই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী পারিসা আক্তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তার সাহসিকতার প্রশংসা করে পোস্ট শেয়ার করছেন।
শালিক জাকির মামুন নামে একজন ব্যবহারকারী ফেসবুকে লিখেছন, তার এমন সাহসিকতায় বাহবা দেয়া যায়। কিন্তু ছিনতাইকারীদের কাছে মাঝে মাঝে ছুরি থাকে; যা দিয়ে তারা আত্নরক্ষার্থে আঘাত করে বসে। এতে অনেকের মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছে প্রমান আছে। সুতরাং সে দিকদিয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে।
খবিরুল ইসলাম নামে একজনে লিখেছেন, সাব্বাশ! জাগ্ররত মানব সমাজ। রেলওয়ের রনি, চট্টগ্রামের রিকশাচালক ও আজকের এই বলিষ্ঠ রমনী। নতুন প্রজন্ম তোমাদের অভিবাদন জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মুহাম্মদ মেসবাহুজ্জামান লিখেছেন, অনেক পুরুষ মানুষ এ কাজটি করতে সাহস পায় না। আমি একবার চোর ধরতে চেয়ে বিপদে পড়েছিলাম। কেউ এগিয়ে আসে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, অবশ্যই এই মেয়েটি প্রসংসার দাবিদার। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: ৪ দিনেও মোবাইল ফিরে পাননি পারিসা, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন
এর আগে, গত গত ২১ জুলাই মিরপুর থেকে তানজিল পরিবহনে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন জবি ছাত্রী পারিসা আক্তার। পথে কারওয়ান বাজার যানজটের মধ্যে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। দ্রুত বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা করেন।
এসময় পাশেই আরেকজনের মোবাইল ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন তিনি। ওই ছিনতাইকারীকে ধরার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে ছিনতাইকারী ও তার সহযোগীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন পারিসা আক্তার ও তার সহপাঠীরা।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাইরে বাস্তব জীবনেও পারিসা তার কাজের জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। তার এমন সাহসিকতার জন্য তাকে সম্মাননা ও উপহার দিয়েছে ‘ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব।’
ক্লাবটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রিজওয়ান উজ জামান রোহান বলেন, ওই দিনের ঘটনায় পারিসা আক্তার যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা তরুণ-তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বর্তমান সমাজে মেয়েদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। সেখানে পারিসার এমন সাহসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়।
পারিসা আক্তার বলেন, সবাই আমাকে যে ভালোবাসা দিচ্ছেন, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ওইদিন হয়তো আমি কাউকে পাশে পাইনি, হতাশ হয়েছি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই যেভাবে পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন, তাতে আমি অনেক খুশি। এভাবেই সবাইকে সবসময় পাশে চাই।