নিরাপত্তাহীনতায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সাংবাদিক, জিডি

নিরাপত্তাহীনতায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সাংবাদিক, জিডি
নিরাপত্তাহীনতায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সাংবাদিক, জিডি  © ফাইল ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১৫ সাংবাদিক তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। শনিবার (০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ত্রিশাল থানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেছে বলে জানান ডিউটি অফিসার এফ এম তানভীর আলম। যার জিডি নং ১৮৯। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবরও একটি লিখিত অভিযোগ জানান এ ১৫ জন সাংবাদিক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে জড়িতদের বিচার দাবি করে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ না দিতেও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে।

এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার আরেক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে জোর করে লিখিত বক্তব্য নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেখানে সেই শিক্ষার্থীকে দিয়ে জোর করিয়ে সংবাদকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য লিখিয়ে নেয়া হয় যা স্বীকার করেছে ওই শিক্ষার্থী। এছাড়া বিভাগের মাধ্যমে হুমকি প্রদানেরও অভিযোগ উঠেছে আন্দোলন নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন: ‘ছাত্রলীগ না করায়’ শিক্ষার্থীকে মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন জমা

এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ সাংবাদিক। ১৫ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন- দৈনিক দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি নিহার সরকার অংকুর, আমার সংবাদের হাবিবুল্লাহ বেলালি, যায়যায়দিনের বায়েজিদ হাসান, খোলা কাগজের তিতলি দাস, একুশে টিভি অনলাইনের আশিক আরেফিন, দৈনিক সময়ের আলোর আশিকুর রহমান, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জিহাদুজ্জামান জিসান, বাংলা ট্রিবিউনের মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, দৈনিক অধিকারের সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ফটোগ্রাফার মোস্তাফিজুর রহমান ও নওশাদ, প্রেসক্লাবের সদস্য সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান, নবাব শওকত জাহান কিবরিয়া, শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, ফজলুল হক পাভেল।

এবিষয়ে সংবাদকর্মীরা বলেন, আমরা ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ করায় বিভিন্নভাবে তারা সাংবাদিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যা গতকাল সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। ওইদিন রাতে এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে জোর করিয়ে তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় যে এই আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। যার নেতৃত্বে সাংবাদিক রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তাদের যা অভিযোগ তা প্রক্টর মহোদয়ের কাছে জমা দিলেই হবে। তখন তা চলমান তদন্তের সঙ্গেই কাজ করবে। প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ