১০ দিন পর ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন স্থগিত

ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন
ইবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

টানা ১১ দিনের মতো কর্মবিরতিতে পালনকালে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। বুধবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম। এরপর সবাইকে নিজ নিজ দফতরে ফিরে যেতে বলেন তিনি।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বুধবার পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা। পরে উপাচার্যের আহবানে তার নিজ বাসভবনে আলোচনায় বসেন কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম তাদের দাবি বাস্তবায়ন একটি কমিটি গঠন করে দেন। আলোচনা শেষে আন্দলোনের স্থগিতের ঘোষণা দেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল আলম।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, এক নাবিক নিহত

আন্দোলনকারী সবার সঙ্গে আলোচনা ও মতামত না নিয়েই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়ায় কর্মকর্তাদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা সবাই সেখান থেকে চলে যান।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।

আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে ঢাবির হলে জাহিদ-আতিয়ার গায়ে হলুদ

কর্মকর্তাদের দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়াকে আহ্বায়ক এবং রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান সদস্য সচিব করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, অধ্যাপক ড.মেহের আলী, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়লিদ হাসান মুকুট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় এটি উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’, প্রজ্ঞাপন জারি

প্রসঙ্গত, কর্মঘন্টা কমানো, বেতনের নীতিমালা পরিবর্তন ও চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরের উন্নীতকরণের দাবিতে ১০ দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। প্রথম কয়েকদিন ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করলেও শেষ দুইদিন পাঁচ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এতে এতে সনদপত্র, নম্বরপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ