যারা ইতিহাস পড়ে না তারা শিকড়বিহীন প্রজন্ম: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বক্তৃতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
বক্তৃতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।  © টিডিসি ফটো

যারা ইতিহাস পড়ে না তারা শিকড়বিহীন প্রজন্ম বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগ ও ভারতের কলকাতার ‘মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্সটিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ’ এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলানোয়তনে দুই দিনব্যাপী ‘দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্র এবং সমাজ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘যারা ইতিহাস পড়ে না তারা মূলত শিকড় বিহীন প্রজন্ম। রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে জানতে হলে তার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধ্বংসাত্মক সকল কিছু থেকে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠা নিয়ে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞগণ সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজস্ব জনশক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, দেশ একদিন এগিয়ে যাবে। বর্তমান প্রেক্ষিতে যে কোন দুর্যোগে অন্য দেশ থেকে সাহায্য পাঠাবে এই আকাঙ্ক্ষায় তীর্থের কাকের মত বাংলাদেশের এখন আর অপেক্ষা করতে কিংবা এর প্রয়োজন হয় না। গ্রামীণ বাংলাদেশ এখন অতীত; উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির ছোঁয়া এখন সকল অঞ্চলে পড়েছে। নারীরা বর্তমানে কর্মক্ষেত্রের সকল পদেই বিচরণ করছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এমনকি বর্তমানে আমাদের বিজি ৭৮৭বোয়িং এয়ারক্রাপ্টের ক্রু সকল সদস্যই নারী, এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমরা যত নতুন কিছুর সাথেই পরিচিত হচ্ছি, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে এগুলোর ব্যপ্তি আগেও ছিল। কোন জাতির সঠিক উৎস ও অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে ইতিহাস গবেষণার গুরুত্ব অনেক বেশি।

উদ্বোধনী সেশনে কি-নোট প্রদান করেন ভারত সরকারের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব ও কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (নতুন দিল্লী, ভারত) এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মুচকুন্দ দুবে এবং বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনফারেন্সের কো-অর্ডিনেটর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বক্তব্য প্রদান করেন ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার।

প্রসঙ্গত, দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও ভুটান এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও শিক্ষকের প্রায় ৬৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। প্রথম দিনের চারটি সেশনে ৩২ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ