শীতের স্নিগ্ধতায় তিতুমীর কলেজ
- সানজানা রহমান যুথী
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ PM
শীতের আগমন মানেই প্রকৃতির সাজ বদল। হিমেল বাতাস, শিশিরে ভেজা ঘাস আর পাতা ঝরা গাছ মনে করিয়ে দেয় শীতের স্নিগ্ধ উপস্থিতি। রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজও এই শীতের রূপে নিজেকে মেলে ধরেছে। প্রতিদিনই শীতের শীতলতা প্রকৃতির কোলে আরও গভীর হয়ে উঠছে, আর তার ছোঁয়ায় যেন এক অনন্য সৌন্দর্যের চিত্র হয়ে উঠেছে কলেজ প্রাঙ্গণ।
ক্যাম্পাসজুড়ে পাতা ঝরা আম, কাঁঠাল, বেল আর জামরুল গাছে পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত পরিবেশ প্রাণের বার্তা দেয়। মাঠের সবুজ ঘাসে জমে থাকা শিশির বিন্দু সূর্যের আলোর সঙ্গে প্রতিফলিত হয়ে যেন প্রকৃতির এক অনবদ্য ছবি আঁকে। শীতের নীরব পরিবেশেও পাখিদের সরব উপস্থিতি যেন শূন্য ক্যাম্পাসে জীবন যোগায়।
কলেজের বোটানিক্যাল গার্ডেন আর পুষ্পকানন নানান রঙের ফুলে ভরপুর। মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত, প্রজাপতিরা ফুলের উপর নেচে বেড়ায়। এই রঙিন পরিবেশ প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও নিবিড় করে তোলে। শীতের সকালে সূর্যালোকের নরম ছোঁয়ায় বাগান যেন এক লীলাভূমিতে রূপান্তরিত হয়।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ কিংবা রবীন্দ্র-নজরুল মুক্তমঞ্চে নেই কোনো কোলাহল। শিশির ভেজা পবিত্র প্রাঙ্গণ যেন শীতের শূন্যতাকে আরও গভীর করে তুলেছে। তবুও পাখিদের কলতান আর দোয়েল, চড়ুই, শালিকের গান নিস্তব্ধ ক্যাম্পাসে প্রাণের সুর বয়ে আনে। শহীদদের স্মরণে নীরব প্রাঙ্গণ যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকে।
লতা-গুল্মের ছন্দময় বৃদ্ধি ক্যাম্পাসের দেয়াল আর ক্যান্টিনকে জাপটে ধরে রেখেছে। জীবনের অনিবার্য অগ্রগতির মতো, এগুলোও যেন শীতের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের ফাঁকা রাস্তায় নেই তেমন কারো পায়ের আওয়াজ, নেই বাড়তি আড্ডার হট্টগোল। বেলায়েত চত্বর কিংবা শহীদ মামুন চত্বরে অনুপস্থিত সেই প্রাণোচ্ছল কোলাহল।
যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি ভেঙে তিতুমীর কলেজের সবুজ আঙিনা শীতের সকালে শান্তির ঠিকানা হয়ে ওঠে। লাল প্রাচীরে ঘেরা ১১ একরের ক্যাম্পাস, শীতের স্নিগ্ধতাকে বরণ করে নিয়েছে প্রকৃতির গভীর মহিমায়।