ইবিতে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব উদযাপিত

ইবিতে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়
ইবিতে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়  © টিডিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী শ্যামাকালী পূজা ও দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবটি কালীপূজা নামেও পরিচিত। এদিন কালীপূজার পাশাপাশি দীপাবলি উৎসবও উদযাপিত হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ইবি থানাসংলগ্ন স্থানে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সনাতনী শিক্ষার্থীদের এই উৎসবে ধুনুচি নাচ, দীপাবলি উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্বলন, মাতৃসঙ্গীত পরিবেশন, ফানুস ওড়ানো, রঙমশাল প্রজ্বালন ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। 

এ সময় ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, চারুকলা বিভাগের ইমতিয়াজ ইসলাম, জার্নালিজম বিভাগের  তন্ময় সাহা জয়, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস।

আরও পড়ুন: শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

শিক্ষার্থী তুষার মালাকার বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বছর শুধু দীপাবলীর দীপদান উৎসব করে থাকি। এবারই প্রথম আমরা শ্যামাকালী পূজা এবং দীপাবলি উৎসব একসাথে পালন করেছি।  এটা অবশ্যই আমাদের একটা ভালো লাগা কাজ করছে। আমরা চাই প্রতিবছর এভাবে আমরা আমাদের উৎসবগুলো নিরাপদে নির্বিঘ্নে পালন করতে এবং এ জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’

ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে, সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছে। আমরা সেরকম কোন অসুবিধার মুখোমুখি হইনি। ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিসি স্যার প্রক্টর স্যারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তবে এটা আমাদের ধর্মীয় নিয়ম যে যখন তিথি থাকবে তখনই পূজা করতে হবে। এবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিথি পড়েছে, ভবিষ্যতে মধ্যরাতেও তিথি পড়তে পারে। এ জায়গাটিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে পূজা অর্চনা করে আসছি। এ জায়গাতে একটি স্থায়ী মন্দির স্থাপনের আবেদন আমরা বহুবার প্রশাসনের কাছে করেছি কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এই প্রশাসনের কাছে আমাদের এখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুমতি এবং মন্দির স্থাপনে সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।’


সর্বশেষ সংবাদ