বাউবিতে সনদ জালিয়াতির ঘটনায় ডিনসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৩২ PM , আপডেট: ১৯ মে ২০২৪, ০৪:০৯ PM
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা এলএলবি সনদ জালিয়াতির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে টাকার বিনিময়ে সনদ প্রাপ্তির ঘটনায় ডিনসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। এর আগে গণমাধ্যমে পরীক্ষা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে এলএলবি সনদ পাওয়ার অভিযোগ আসে। এ ঘটনায় সহকারী সিনিয়র প্রোগ্রামার খালিদ সাইফুল্লাহসহ ৫ জনকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের শাস্তি দাবিসহ ৬টি দাবি জানায়।
এদিকে গণমাধ্যমে অভিযোগ আসার পরপরই তাৎক্ষণিক ফলাফলের সার্ভার রুম সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জালিয়াতির ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫ জনকে বরখাস্ত করেছে।
ক্লাস-পরীক্ষা ছাড়াই মাত্র ৭০ হাজার টাকায় এলএলবির ভ্যারিফায়েড মার্কশিটসহ সনদ বিক্রি করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র। দালালদের যোগসাজসে এই কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হতো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কম্পিউটার বিভাগ থেকে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে-
১. এলএলবি (অনার্স ) সনদ বিক্রি ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন, বার কাউন্সিল ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে বাউবি শিক্ষার্থীদের মান, পড়াশোনার মান ও সনদের মানের স্বচ্ছতা তুলে ধরতে হবে।
৩. স্থগিত হওয়া 'স্কুল অব ল' সর্বোচ্চ ১ মাসের মধ্যে চালু করতে হবে। এই দাবি বাস্তবায়ন উদ্যোগ নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সকল এলএলবি সনদ ভেরিফিকেশন করতে হবে, ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ভর্তি আবেদন থেকে শুরু করে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শীটের স্বাক্ষরসহ সকল বিষয় যাচাই-বাছাই করতে হবে।
৫. অযোগ্য, দুর্নীতি অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন জাহাঙ্গীর আলমের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ চাই ।
৬. এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে এবং স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক বাউবি গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে।