আগে ভর্তি নিয়েও লাখ খানেক আসন খালি থাকছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারও বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত সারাদেশের কলেজগুলোতে ক্লাসও শুরু হবে সবার আগে। এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আগে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে ক্লাস শুরু করেও প্রায় লাখ খানেক আসন খালি থাকছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এর আগের প্রতিবেদনে, অর্থাৎ আগের শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালির সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই। 

তথ্যমতে, একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতো। এতে যারা এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেত না, তারা সহজেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ভর্তি হতে পারত।

২০২১ সালের পরিসংখ্যান। সূত্র: ইউজিসি

তবে কয়েক বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে ভর্তি নেওয়ার ফলে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী প্রথমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হয়ে থাকছে, পরে আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে চলে যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীকে।

ইউজিসির সর্বশেষ ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস)/স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ৯ লাখ ১ হাজার ৫৪৫টি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ১৯৬জন, আসন শূন্য ছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৯টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ও কারিগরি আসন সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৫টি, তার মধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৫ জন। 

অন্যদিকে, শুধু স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক কারিগরি পর্যায়ে মোট আসন ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯০টি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৫ জন, আসন শূন্য ছিল ৮৬ হাজার ৩৭৫টি।

২০২২ সালের পরিসংখ্যান। সূত্র: ইউজিসি

এর আগে ইউজিসির ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২১ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস)/স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক কারিগরি/সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৯ হাজার ৭৯১টি। আর ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৩৩ জন, আসন শূন্য ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬২টি।

অন্যদিকে, শুধু স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক কারিগরি পর্যায়ে মোট আসন ছিল ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮০১টি এবং ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৬ জন, আসন শূন্য ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৫টি।

জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, দেশের উচ্চশিক্ষার মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ক্লাস দেরিতে শুরুতে সেশনজট লেগে যাবে। সেজন্য আমরা সবার আগে ক্লাস শুরুর চেষ্টা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ