সমাজের কারণে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়: জবি উপাচার্য
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৭ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৫ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকাকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা না করা হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলিং শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলিং নিতে পারি, কারণ ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আইন বিভাগের আয়োজনে ফাইরুজ অবন্তিকার শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. সাদেকা হালিম বলেন, গত নভেম্বরে অবন্তিকা প্রক্টর অফিসে যে অভিযোগ দিয়েছে তা কেন আমলে নেওয়া হয়নি তার জন্য সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামালকে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে, জবাবদিহিতা করতে হবে। তার সঙ্গে সাবেক প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যকেও ডাকা হবে। যদি অভিযোগপত্রটি আমলে নেওয়া হতো তাহলে আজকের প্রেক্ষাপট এভাবে নাও হতে পারতো। অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য আমি আমার শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
ড. সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াবো। এতে শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না একজন নারীও থাকবেন।
জবি উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বন্ধে তৈরি বক্সগুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্সগুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো। যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি ছেলে শিক্ষার্থীরাও তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এ সময় অবন্তিকার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সহপাঠীদের সঙ্গে শেয়ার করা সবকিছু তদন্ত কমিটিকে জানাতে বলেন জবি উপাচার্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, আইন অনুষদের ডিনসহ সব অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আইন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।