গুচ্ছে বঞ্চিত ভর্তিচ্ছুদের প্রাপ্য অধিকার কীভাবে, জানালেন জবি উপাচার্য
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:০৩ PM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৫ PM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কার্যক্রমে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য অধিকারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেছেন, যত সময় লাগুক, তারা সে সময় নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের সিরিয়াল অনুযায়ী সাবজেক্ট দিয়ে যাবেন।
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে গত রবিবার তিনি জানিয়েছিলেন, ‘গুচ্ছে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হবে’। তখন ভর্তিচ্ছুরা এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
জবি উপাচার্য বলেন, যত সময় লাগে লাগুক, আমরা ভর্তিচ্ছুদের সিরিয়াল অনুযায়ী সাবজেক্ট দিয়ে যাবো। এই লিস্টেই তো আমাদের সিট সব পূর্ণ হবে না। দেখা যাচ্ছে আমি তালিকা প্রকাশ করেছি ৩২০ জনের। কিন্তু শিক্ষার্থী আসছে ৭২ জন বা ৩২ জন। তারপরে সিরিয়ালি আবার পরের লিস্ট আসবে। তখন আমরা তাদের যে পর্যন্ত বাদ গেছে, সে পর্যন্ত তাদেরকে সাবজেক্ট দিয়ে দিবো।
‘‘মোট কথা মেরিট অনুযায়ীই সাবজেক্ট দেওয়া হবে। যে আগের মেরিটে বাদ গেছে সে পরের মেরিট অনুযায়ী আবার আসবে। শুধু শুধু আদালতে গিয়ে আমাদের সময় আরও নষ্ট করা হলো। তবে সে যাইহোক, তারা যদি দেরি করে আসতে চায় তাহলে আমরা এভাবেই গ্রহণ করবো।’’
এদিকে, এদিন (রবিবার) ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির অষ্টম মেধা ও সপ্তম মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটি আসন ফাঁকা?
অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের সাবজেক্ট বাকি ছিলো বোটানি, জুয়োলজি, সাইকোলজি , জিওগ্রাফি। ৬ষ্ঠ মেধাতালিকার আগেই উপরের সাবজেক্টগুলো সব পূরণ হয়ে গেছে। এজন্য ওরা বাদ গেলেও ওদের কোন লস নেই। কারণ ওরা আগেও যা পেতো এখনো তাই পাবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত অবশিষ্ট ২১ বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বনিম্ন ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫৩০ টি পর্যন্ত আসন ফাঁকা রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৫২টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৩৪১ টি, ‘বি’ ইউনিটে ৪ টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭ টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৭৮ টি। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২৮৮টি, ‘বি’ ইউনিটে ৪ টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ২ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ৫২৯ টি, যার মধ্যে ‘এ ইউনিটে ৩৬১টি, ‘বি ইউনিটে ১১৪টি, এবং ‘সি ইউনিটে ৫৪ টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮টি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৮৯টি আসন ফাঁকা রয়েছে।