‘জবির খরচ বাঁচাতে এগিয়ে আসার’ আহ্বান শিক্ষার্থীদের

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচির প্রতিবাদ

শিক্ষার্থীদের বসানো প্রতীকী প্রতীকী দান বাক্স
শিক্ষার্থীদের বসানো প্রতীকী প্রতীকী দান বাক্স  © টিডিসি ফটো

আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত ‘স্বল্প পরিসরের’ অনুষ্ঠানমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অর্থ সংকটে রয়েছে দাবি করে তারা প্রতীকী দান বাক্স বসিয়েছেন। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি প্রশাসন। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্বল্প পরিসরে উদযাপনের দাবি তাদের।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের বসানো ওই দান বাক্স দেখা যায়। এতে লেখা রয়েছে ‘‘জবির খরচ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে প্রানবন্ত করতে জবি প্রশাসনকে মুক্ত হস্তে দান করুন।’’

পরে অবশ্য বিষয়টি বিশ্ববিদালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের নজরে পড়লে তিনি কর্মচারীর মাধ্যমে দানবাক্সটি সরিয়ে নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের ‘স্বল্প পরিসরের আয়োজন’ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচিতে হতাশ জবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন বলছে, আর্থিক সংকট ও স্পন্সর না পাওয়ায় তেমন বড় কোনো আয়োজন রাখা হয়নি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা চাইলেও কনসার্টের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, জবি প্রশাসনের কি এতটুকু ক্ষমতাও নেই যে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটির জন্যও তারা খরচ করতে পারবে না? এতটাই অক্ষম প্রশাসন? অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় কতো জমকালোভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি উদযাপন করছে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে শিক্ষার্থীরা দানবক্স নিয়ে বসেছেন।

দানবাক্সের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,  শিক্ষার্থীদের এটা করা ঠিক হয়নি। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ট্রল হবে। সরকার নির্দেশ দিয়েছেন সকল ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে। তাই নিজেদের ক্যাম্পাসের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কোনো অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ