চলতি বছরের শেষে হতে পারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে পারে। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে আজ সোমবার (৬ মে) বঙ্গভবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় রাষ্ট্রপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার এবং রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজনের এখনও দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। সাধারণত গরমে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব না। যেহেতু সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসবেন, তাই শীতের সময়ে অর্থাৎ চলতি বছরের শেষের দিকে এটি আয়োজন করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তাই উনাকে বিষয়টি জানিয়েছে রেখেছি এবং সমাবর্তনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সমাবর্তনের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজনের কাজ শুরু করা হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২০০-এর অধিক। এখান থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট বের হলেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন সমাবর্তন থেকে। গত ৩২ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের উপস্থিতিতে এ সমাবর্তন হয়। এরপর ২০২০ সালে দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। সেসময় শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনের দাবিতে আন্দোলনও করেছিলেন।

জানা গেছে, অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে ২০১৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কোনো উপাচার্য এই উদ্যোগ নেননি। প্রথম সমাবর্তনে ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ৯৩২ জন নিবন্ধনকৃত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এদের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করায় আট শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, গতবছরের শুরুর দিকে দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করলেও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদের শেষে দিকে হওয়াতে তা আরও আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচনের কারণে এ বছর দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজন আর করতে পারেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ