৪০তম বিসিএস

স্বামী-স্ত্রী দুইজনই শিক্ষা ক্যাডার

রাসেল আহমেদ ও সুলতানা বেগম
রাসেল আহমেদ ও সুলতানা বেগম  © সংগৃহীত

সদ্য ঘোষিত ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. রাসেল আহমেদ ও সুলতানা বেগম। তারা দুজন সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী, দুজনেই ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বছর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

জানা যায়, মো. রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  বাংলা বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। আর সুলতানা বেগম একই বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইনস্ট্রাক্টর (বাংলা) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৩৮তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

শিক্ষা (বাংলা) ক্যাডারে মেধা তালিকায় ৪৯তম স্থান অধিকার করা মো. রাসেল আহমেদ শালগাও কালিসীমা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০৮ সালে এসএসসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  সরকারি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। 

এই ক্যাডারে মেধা তালিকায় ৫৮তম স্থান অধিকার করা সুলতানা বেগম বানিয়াচংয়ের সন্দলপুর বি.সি. উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে এসএসসি, হবিগঞ্জের শচীন্দ্র কলেজ থেকে ২০১১ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

আরও পড়ুন- প্রশাসনে প্রথম কুয়েটের তিলা, পুলিশেও কুয়েটের আদর

তাদের সফলতার পেছনের গল্পটা জানতে চাইলে মো. রাসেল আহমেদ বলেন, আমার সফলতার সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আমার বড় ভাই। যিনি বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে আফ্রিকায় দায়িত্বরত আছেন। তার মাধ্যমেই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আমার বড় ভাই আর্থিক ও মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন। তারপর আমার মেজো ভাই আছেন তারও সহযোগিতায় এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। আরেকটা বিষয়, ক্যাম্পাস লাইফে ফ্যামিলি থেকে প্রচুর সাপোর্ট পেয়েছি। ফ্যামিলির জন্য আমাকে কিছু করতে হয়নি। তাই পুরো সময়টা পড়াশোনায় দিতে পেরেছি।

আরও পড়ুন- ৩৮তম বিসিএসে সেরা চমক, স্বামী-স্ত্রী দুজনই প্রশাসন ক্যাডার

তিনি আরও বলেন, সুলতানার সাথে আমার সম্পর্কে যাওয়ার পর থেকে দুজনই ক্যাডার হওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। সেজন্য প্রায় সময় টিএসসিতে বসে, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে ও কার্জন হলে গিয়ে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের মাথায় সবসময় এটা কাজ করতো যেভাবেই হোক আমাদের বিসিএস ক্যাডার হতে হবে। আমাদের পড়াশোনার ঘাটতিগুলো একে-অপরে পূরণ করার চেষ্টা করেছি। বিসিএসের জন্য ২০১৩ সালে থেকে যে পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে তা আজ সার্থক হয়েছে।

আরও পড়ুন- ৩৮তম বিসিএস: স্বামী শিক্ষা ক্যাডারে ইতিহাসে প্রথম, স্ত্রী অষ্টম


সর্বশেষ সংবাদ