৪৬তম বিসিএস: প্রিলির পর দ্রুত লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৯ PM , আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৪ PM
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে এই বিসিএসে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের এখন থেকেই লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৬তম বিসিএসের রোডম্যাপ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে এই বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক বছরে না পারলেও দ্রুত এই বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করা হবে। সেজন্য প্রিলি পরীক্ষার পর দ্রুত লিখিত পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
পিএসসি’র একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষা। এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিসিএসের খাতা দেখার সুযোগ পাবেন সহকারী অধ্যাপকরা
ওই সূত্র আরও জানায়, প্রিলির ফল প্রকাশের পর খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হতে পারে। এক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। এরপর লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হবে। পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি দেওয়ার পরিকল্পনাও নেই বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র পরীক্ষা শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মার্চে পরীক্ষা নিতে না পারায় সবকিছুেই পিছিয়ে যাবে। সেজন্য পিএসসি’র বিশেষ সভায় ৪৬তম বিসিএসের সকল কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএস: ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাচ্ছে
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন। যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এবার বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এই বিসিএসে সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এর পরপরই সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এই ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে। প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।