আইএসইউ উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল

অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান
অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান  © ফাইল ছবি

বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান। আগামী চার বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানকে উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ, কে, এম, মোশাররফ হুসাইন এবং ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান।

আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ শতভাগ ওয়েভারে ভর্তি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষক হিসেবে তাঁর ৫০-এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন দেশী ও বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৬০-এর অধিক এমফিল ও পিএইচডি গবেষক-এর তত্ত্বাবধায়ক ও পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ড. খান ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানাধীন সাতুরিয়া গ্রামে ১৯৪৮ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম রুস্তুম আলী খান ও মাতা মরহুমা ছাহেরা খাতুন বিদ্যোৎসাহী ও দানশীল হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে ব্যাচেলর অব কমার্স ও ১৯৭০ সালে মাস্টার অব কমার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৮৭ সালে অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস এর অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে জুন ১৯৯৭ থেকে জুলাই ২০০০ পর্যন্ত দায়িত্বরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন হিসেবে ২০ বছরেরও বেশি সময় অধ্যাপনা করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ