জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আইএসইউ উপাচার্য ড. আব্দুল আউয়ালের তিন বই

জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আইএসইউ উপাচার্য ড. আব্দুল আউয়ালের তিন বই
জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে আইএসইউ উপাচার্য ড. আব্দুল আউয়ালের তিন বই  © টিডিসি ফটো

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান তিনটি বই লিখেছেন। ‘ফিরে দেখা নিজেকে, নারী ও পড়ন্ত বয়সে সুখের সন্ধানে’ বই তিনটিতে তাঁর বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন সময়ের সাথে মানুষের জীবনের বাস্তবতাকে। বইগুলো সদ্য প্রকাশ করেছে আবীর পাবলিকেশন্স।

‘ফিরে দেখা নিজেকে’ বইয়ে আইএসইউ উপাচার্য তার ফেলে আসা জীবনের প্রাপ্তি, তৃপ্তি-অতৃপ্তি, সামাজিক অবক্ষয় ও পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ছাত্রজীবনের উপভোগ্য সময় এবং  সংসার জীবনের খুঁটিনাটি সবকিছুর স্মৃতিচারণ সমৃদ্ধ করেছে এই আত্মকথনকে।

‘নারী’ গ্রন্থে জীবনের অতিক্রান্ত সময়ে দেখা বহু নারীর আচার-ব্যবহার ও ভিন্নতা পরিলক্ষণের ভিত্তিতেই ছয়জন নারীর জীবন সংগ্রামের বাস্তবতা উপস্থাপন করা হয়েছে কাল্পনিক নামে। গ্রন্থকার এখানে তুলে ধরেছেন কীভাবে নারীর ত্যাগ, দ্বায়িত্ব ও অবদান গোটা পরিবারের সফলতা এনে দেয়। নারী গ্রন্থে নিপীড়িতা নারী রোকেয়া, নিপীড়ক নারী হেনা, সহনশীলা নারী তানিয়া, অদূরদর্শী নারী সাহানা, বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী সফল নারী রোজিনার মাধ্যমে লেখক নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারে নারীর অংশগ্রহণমূলক অবদানের কথা তুলে ধরেন।

‘পড়ন্ত বয়সে সুখের সন্ধানে’ বই ড. আব্দুল আউয়াল খানের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রবীণ বয়সে দেশ ও জন্মভূমির আবেশই যে সর্বোৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে আত্মতৃপ্তিদায়ক তারই তথ্য সমৃদ্ধ উপস্থাপন। অনেক প্রতিষ্ঠিত ও সফল ব্যক্তিও সুখ ও সন্তুষ্টির আশায় ভিনদেশে গিয়ে পেয়েছেন পরনির্ভরতা ও অপরিচিত পরিবেশের করুণ অভিজ্ঞতা। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে নিজ দেশ ও পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়েই কোন ব্যক্তিই যে সবচেয়ে সুখী হতে পারে, সে বিষয়ই আলোকপাত করা হয়েছে এ বইয়ে।

উল্লেখ, দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান কর্তৃক রচিত ব্যবসায় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত, প্রচারিত, পঠিত ও আলোচিত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ