নানা আয়োজনে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন  © সংগৃহীত

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী ও খেলাধুলাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পরিবার।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভারও আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, তরুণরাই এই দেশের কাণ্ডারি। উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে তাদের কাজে লাগানোর বিকল্প নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শংকর হাজরা প্রধান অতিথি ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, এলপিআর ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা মনন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতাপ শংকর হাজরা বলেন, শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে ভালো নাগরিক হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য পিতা-মাতা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাও প্রয়োজন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও আমরা দেশ থেকে দুর্নীতি দমন করতে পারিনি। প্রত্যাশা থাকবে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সেটি করে যেতে পারেন। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা অমূল্য সম্পদ, যেটি আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জন করেছি। এই অর্জনের পূর্ণ ব্যবহার করেই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় তিনি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নাগরিক গড়ে উঠতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় অবদান রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার চেতনা, ৫৪ বছরের অর্জন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশে  অর্থনীতির তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির ও অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ। তারা বলেন, স্বাধীনতা তেমনই একটি ইতিহাস, যার চেতনা লালন করতে পারলেই বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুই দফা গণহত্যার কঠোর সমালোচনা করা হয়। 
রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নেভি) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতাহীন জীবন আশা ছাড়া শরীরের মত। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই স্বাধীনতার ইতিহাস জানলেও অধিকাংশই তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনা।  এই হৃদয়ঙ্গম জরুরি। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধ, অপরিসীম ত্যাগ ও বেদনাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তি।

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত দেওয়ালিকা, কুইজ ও ডিবেট এবং ভলিবল, দাবা ও লুডু প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতাপ শংকর হাজরা  ও সভাপতি অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদসহ উপস্থিত ডিনবৃন্দ ও রেজিস্ট্রার বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ