৫৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেটে বার্ষিক উদ্বৃত্ত ১,২৫০ কোটি টাকা
- খাঁন মুহাম্মদ মামুন
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ০৩:২২ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৩ PM
দেশের উচ্চশিক্ষায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি সমান অবদান রেখে এগিয়ে চলেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানে ভালো মানের শিক্ষা গ্রহণের জন্য তুলনামূলক বেশি অর্থই খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। দেশে ৯০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠিত এ খাতটি আবারও আলোচনায় সরকারকে তাদের আয়ের বর্ধিতাংশ বা উদ্বৃত্তের উপর ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে।
সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে যে রায় দেওয়া হয়েছে—তা বহাল থাকলে বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়গুলোকে সরকারের কোষাগারে তাদের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থের ১৫ শতাংশ জমা দিতে হবে। ফলে আবারও নতুন করে ‘অলাভজনক’ এবং ‘ট্রাস্ট্রে’র অধীনে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হিসেবের খাতা আলোচনায় এসেছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১০টি। এর মধ্যে পাঠদান করছে ১০০টি প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের ৫৪টি বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়ের তহবিলে জমা পড়েছে মোট ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৫ লাখ ৪৯৫ টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সকল ব্যয় বাবদ পরিশোধের পর এসব অর্থ তাদের হাতে উদ্বৃত্ত রয়েছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি
বিগত ২০২২ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মোট আয় ছিল ৫৫৮ কোটি ৯৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। বিপরীতে একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট ব্যয় ৩০২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এ সময়ে বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানে মোট উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ ২৫৬ কোটি ১ লাখ টাকা। এর বাইরে একক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশের সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠানও এখন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে দেশের অন্য অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের থেকেও বেশি অর্থ উদ্বৃত্ত আছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী তহবিলে—যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটির টাকা।
বিগত ২০২২ সালে বেশি উদ্বৃত্ত বা আয় ছিল—দেশের এমন ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নর্থ সাউথের পরেই রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এসময় উচ্চশিক্ষালয়টিতে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ১১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। একই পরিমাণ অর্থ উদ্বৃত্ত ছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়েরও। এরপর ১০১ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত রেখে দেশের শীর্ষ চতুর্থ উদ্বৃত্ত থাকা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এরপর ৯৬ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
বিগত ২০২২ সালে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট আয় ছিল ৩ হাজার সাতশ ৭৭ কোটি ৫৪ হাজার টাকা। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৬৮৯ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার টাকা—ইউজিসি।
এছাড়াও একই সময়ে মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত দেশের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নটর ডেম ইউনিভার্সিটিতে উদ্বৃত্ত ছিল ৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এরপর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) ৫৬ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত নিয়ে রয়েছে শীর্ষ আয় বা উদ্বৃত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভে (ইউডা) ৫০ কোটি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার উদ্বৃত্ত নিয়ে অষ্টম, ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) নবম এবং ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত নিয়ে দশম অবস্থানে রয়েছে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি।
আইন অনুযায়ী, উদ্বৃত্ত এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসিতে জমা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক হিসেব থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশে উচ্চশিক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিযোগিতা বাড়ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ফাইল ছবি
দেশে পাঠদান অব্যাহত রাখা ১০০ বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিগত ২০২২ সালে একক কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবচেয়ে বেশি উদ্বৃত্ত অর্থ জমা পড়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) তহবিলে।
কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, একই সময়ে আয়-ব্যয় সমান ছিল দেশের সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর বাইরে আয়ের চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় দেখিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিসহ মোট ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। কমিশনে জমা দেওয়া হিসেবে গরমিল পাওয়া গেছে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ের সুপারিশ ইউজিসির
দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, বিগত ২০২২ সালে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট আয় ছিল ৩ হাজার সাতশ ৭৭ কোটি ৫৪ হাজার টাকা। বিপরীতে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৬৮৯ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় এবং ব্যয় সমান ছিল—সংখ্যার হিসেবে এটি ৩ হাজার ২৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় নর্থ সাউথ ছাড়াও রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট, ড্যাফোডিল ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়; বিগত এক বছরে এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থের পরিমাণ তিনশত কোটি টাকারও বেশি। এর বাইরে শত কোটির কাছাকাছি অর্থ উদ্বৃত্ত ছিল আহছানউল্লাহ্ ও নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে। আর অর্ধ শতকোটির মতো অর্থ জমাতে পেরেছে আইইউবিএটি, বিইউবিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি।
দেশে বিগত এক বছরে আয়ের চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় দেখিয়েছে ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে—ব্র্যাক, আইইউবি, এআইইউবি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টা, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ইউআইইউ, ইস্টার্ন, উত্তরা ইউনিভার্সিটি।
এছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সেন্ট্রাল উইমেন্স, আইআইইউসি, পিপলস, সাউথ ইস্ট, স্টেট, পুণ্ড্র, ওয়ার্ল্ড, শান্ত-মারিয়াম, দি মিলেনিয়াম, প্রেসিডেন্সি, ইউআইটিএস, ইউল্যাব, অতীশ দীপঙ্কর, আশা, ইস্ট-ডেল্টা, বরেন্দ্র, এক্সিম ব্যাংক কৃষি, নর্থ-ওয়েস্টার্ন, পোর্ট-সিটি, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট, কানাডিয়ান, এন পি আই, রবীন্দ্র মৈত্রী, বান্দরবান ইউনিভার্সিটির বার্ষিক উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৩০ কোটি থেকে শুরু করে এক কোটির মধ্যে।
একই সাথে আয়ের চেয়ে কম অর্থ খরচ করে উদ্বৃত্ত অর্থ রাখতে পেরেছে সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সৈয়দপুর এবং কাদিরাবাদের বিএইউইটি। তবে আয়ের চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে একই বাহিনীর পরিচালিত কুমিল্লার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হতে খরচ কোটি টাকা!
দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোটির নিচে অর্থ উদ্বৃত্ত রয়েছে—বিজিসি ট্রাস্ট, ইউডা, মেট্রোপলিটন, প্রাইম এশিয়া, রয়েল, হামদর্দ, নর্থ ইস্ট, ফেনী ইউনিভার্সিটি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা, আনোয়ার খান মডার্ন, জেডএনআরএফ, ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে।
একই সময়ে আয়ের চেয়েও বেশি অর্থ ব্যয় দেখিয়েছে দেশের ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ব্র্যাক ছাড়াও রয়েছে—আইইউবি, এআইইউবি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টা, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ইউআইইউ, ইস্টার্ন, উত্তরা, বাংলাদেশ ইসলামী, ইউরোপিয়ান, বিজিএমএ’র প্রতিষ্ঠান বিইউএফটি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল, সোনারগাঁও, হেলথ সায়েন্স, টাইমস, নর্থ বেঙ্গল, ফারইস্ট, আএসটিইউ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিলে থাকা এ অর্থকে ‘উদ্বৃত্ত’ বা ‘এক্সট্রা সারপ্লাস’ বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের হাতে থাকা এসব অর্থ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, উন্নয়ন, গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় করবে—অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসি।
আয়ের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের তালিকায় আরও রয়েছে—জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, খুলনার নর্দান, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চিটাগং, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ অন্যান্য খাতে গৃহীত ফি থেকে ‘নিজস্ব আয়’ নামে মূল আয় করে থাকে। এছাড়াও বিদেশি ও অন্যান্য উৎস অথবা ফান্ড থেকেও কিছু অর্থ আয় করে দেশের বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিয়মিত পাঠদানের বাইরে হাতে-কলমেও শেখার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয়ের খাতের মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিভিন্ন ধরনের ল্যাব ও যন্ত্রপাতি, লাইব্রেরি, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খাতসমূহ।
বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির (ইডব্লিউইউ) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল হিসেবই সফটওয়্যারে মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকেই তথ্য নিয়ে অডিট রিপোর্টসহ ইউজিসিতে জমা দেওয়া হয়। এখানে কোনো তথ্য কাট-ছাট করার কোনো সুযোগ থাকে না। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছ হিসেব থাকা উচিত বলেও মনে করেন এই উপ-উপাচার্য।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত উচ্চশিক্ষায় দেশের অর্থ ও মেধার অপচয়
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা থাকা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থার এ সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। সেজন্য অটোমেশন বা স্মার্ট সিস্টেমে প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা অর্থকে লাভ নয় বরং উদ্বৃত্ত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী একে ‘উদ্বৃত্ত’ বা ‘এক্সট্রা সারপ্লাস’ বলা হয়েছে। সেজন্য একে লাভজনক বলা যাবে না। আমরা আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের হাতে থাকা এসব অর্থ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, উন্নয়ন, গবেষণাসহ উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় করবে।