এটিও পদে নিয়োগ জটিলতা কাটছে, সভা বুধবার
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২০ AM
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার (এটিইও) নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হচ্ছে। এ বিষয়ে আলোচনা করতে সভা ডাকা হয়েছে। বুধবার কমিশন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৬ নভেম্বর) পিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া নতুন শিক্ষকরা এটিও পদে আবেদন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এক দফা জটিলতার নিরসন হলেও পরবর্তীতে ফের জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায় থেকে মতামত পাওয়ায় এটিও পদে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে সভা ডাকা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র একজন কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এটিও পদে নিয়োগ নিয়ে আদালতে রিট করা হয়েছিল। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের মতামত পাওয়া গেছে। উচ্চপর্যায়ের মতামত অনুযায়ী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বুধবার (৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে আলোচনা করতে সভা ডাকা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এটিইও পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি গত ২৬ জুন প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষক (অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর) এটিইও পদে আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। তবে বিজ্ঞপ্তির নিচে আবেদন নির্দেশিকায় বলা হয়- ‘এ পদে আবেদনের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষকের কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে’।
এটিও পদে নিয়োগ নিয়ে আদালতে রিট করা হয়েছিল। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের মতামত পাওয়া গেছে। উচ্চপর্যায়ের মতামত অনুযায়ী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পরবর্তীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাও এটিইও পদে আবেদন করতে পারবেন। গত ১৭ জুলাই মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে পিএসসিকে চিঠি পাঠানো হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল মালেকের সই করে পিএসসিতে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮৫ (সংশোধিত ১৯৯৪), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ২০১৫ ও ২০১৮ সালের একই পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরি নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ (বিশেষ বিধান) বিধিমালা, ২০০৩ যাচাই করে পিএসসির প্রকাশিত এটিইও পদে নিয়োগ যোগ্যতার শর্ত সংক্রান্ত জটিলতা অবসান ও বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের প্রয়োজন হলে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠির প্রেক্ষিতে, আবেদন নির্দেশিকা থেকে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয় পিএসসি। ফলে বিভাগীয় কোটায় পূরণযোগ্য ১৫৯ পদে এটিইও নিয়োগে ১ জুলাই থেকে অনলাইনে যে আবেদন শুরু হয়েছিল তাতে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাও আবেদন করার সুযোগ পান। ৩১ জুলাই পর্যন্ত এ পদে আবেদন প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল।
আরো পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে
কিন্তু আবেদন চলাকালে ২৪ জুলাই আবারও নিয়মে পরিবর্তন আনে পিএসসি। আবেদনের শর্তে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতার ঘর যুক্ত করা হয়। এতে ফের জটিলতায় পড়েন নতুন শিক্ষকরা। শেষ পর্যন্ত এটিও পদে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসি’র সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাধারণ নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী- দশম গ্রেডের এটিইও পদে বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দুই বছরের অভিজ্ঞতা প্রযোজ্য। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এটা প্রযোজ্য নয় বলে বলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এটিও পদে আবেদন নিয়ে প্রার্থীরা আদালতে রিট করেছিলেন। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায় থেকে কিছু মতামত পাওয়া গেছে। আমরা পর্যবেক্ষণগুলো পর্যালোচনা করব। নতুন করে নির্দেশনা দেওয়ার পর আবারও অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।