নিবন্ধন ছাড়া চলবে না কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৪ PM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১২ PM
নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া কোনো কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি বিদ্যালয় চলবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সচিব বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে। আমরা চাচ্ছি কোনো বিদ্যালয় যেন একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন ছাড়া পরিচালিত না হয়। এখন যেসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলোকেও নিবন্ধন নিতে হবে। আমরা চাইব ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে যেন একাডেমিক স্বীকৃতি বিহীন ও নিবন্ধনবিহীন কোনো বেসরকারি বিদ্যালয় না চলে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে স্কুলগুলো আছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ নিবন্ধিত। বাকি ৯০ শতাংশ অনিবন্ধিত। অনিবন্ধিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও আসতে হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত দেবেন। আর নিবন্ধনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। তবে বিভাগীয় উপপরিচালকের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা হবে। নিবন্ধন ফি ২০১১ সালের বিধিমালা অনুযায়ীই রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধন পাওয়ার পর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রমের বিষয়ে সচিব বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বইগুলো বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে। এর বাইরে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো বই পড়াতে চাইলে পড়াতে পারবে। কিন্তু সেটি সরকারকে জানাতে হবে। তবে বেসরকারি এসব বিদ্যালয়ে কত টাকা বেতন (টিউশন ফি) নেওয়া হবে সেটি সরকার নির্ধারণ করে দেবে না। কিন্তু কত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা নির্ধারিত ফরমে সরকারকে জানাতে হবে। তখন সরকার বিবেচনা করবে সেটি যৌক্তিক না অযৌক্তিক।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। যার মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। বাকিগুলো কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি বিদ্যালয়। এসব বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৯০ ভাগেরই নিবন্ধন নেই।