৫১০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক মাশরাফি- তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র নেই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৫৫ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৫৫ PM
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকট্র্যাকার নামে একটি সাইটে দাবি করা হয়েছে ৫১০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাতে, আরও দাবি করা হয় সাকিব আল হাসানের টাকার পরিমাণ ৪০৭ কোটি।
এ তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য কোনো সূত্র নেই। কারণ যে ওয়েবসাইটের বরাতে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে (ক্রিকট্র্যাকার) সেটির প্রতিবেদনের তথ্যের নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রের উল্লেখ নেই। তাতে সূত্র সম্পর্কে লেখা হয়েছে ’According to multiple websites.’ অর্থাৎ, এটি একটি নাম পরিচয়হীন সূত্র। সম্পদের এই পরিমাণ কী পদ্ধতিতে বের করা হয়েছে তারও সুস্পষ্ট কোনো বর্ণনা নেই। ফলে সহজেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এ প্রতিবেদন।
ক্রিকট্র্যাকারের এই তালিকায় সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সম্পত্তির মোট পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০ কোটি টাকারও বেশি। পেসার রুবেল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার। আর ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক তাসকিন।
আরও পড়ুন: ভুয়া পরীক্ষার্থীর দুই বছর ও প্রশ্ন ফাঁসে ১০ বছর কারাদণ্ড
পাশাপাশি, ৭ মিলিয়ন ডলারের মালিক মাহমুদউল্লাহ, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের মোট সম্পত্তি ১৩ মিলিয়ন ডলার বা ১৩১ কোটিরও বেশি। আর লিটন কুমার দাসের সম্পত্তি ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৫২ কোটি টাকা। এছাড়া, তামিম ইকবালের সম্পদের পরিমাণ ২০ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি, মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের মোট সম্পত্তির বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৫ কোটি টাকা বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
যে ওয়েবসাইটের বরাতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সেটি একটি ক্লিকবেইট ওয়েবসাইট এবং যা ডিসক্লেইমার আকারে ওয়েবসাইটের নিচেই বলা আছে। তারা তাদের প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যের সত্য/মিথ্যার দায় নেয় না। তদের ডিসক্লেইমারে লেখা হয়েছে: ’Any reliance you place on such information is therefore strictly at your own risk.’ ফলে, এ প্রতিবেদন যে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তা সহজেই অনুমেয়।
এছাড়াও, কোনো পেশাদার বা ক্রিকেটবোদ্ধা সাংবাদিক বা বিজনেস সাংবাদিক নন প্রতিবেদনের লেখক। সে একজন বালক এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রিলান্স আর্টিকেল রয়েছে তার। বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে প্রোফাইল আছে ফ্রিলান্সার ওই বালকের। একইসাথে সন্দেহ আছে সাকিব আল হাসানের চেয়ে বাংলাদেশের অন্য কোন ক্রিকেটারের সম্পদ বেশি এমন দাবিরও।