৪৪ খননকর্মীর মৃত্যু ফারও’র অভিশাপ নাকি গুজব?

তুতেনখামের মমি
তুতেনখামের মমি  © ফাইল ছবি

ফারাওয়ের শেষ সম্রাট ছিলেন তুতেনখামেন। যিনি মাত্র নয় বছর বয়সে মিশরের সম্রাট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তুতেন খামেনের বয়স কম হওয়ার জন্য তার চাচা রাজকার্য সামলাতেন । রাজা হবার পর তুতেন খামেন তার সৎ বোন আলেক্সানামুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কারণ তখন মিশরীয়দের মধ্যে ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের প্রথা প্রচলিত ছিল। তাদের দুটি সন্তান জন্মের আগেই মারা যান , একজন পাঁচ মাস আরেকজন নয় মাস বয়সে মাতৃগর্ভেই মৃত্যুবরণ করে।

তুতেনখামেন মাত্র উনিশ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তার মমির উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পর জানা যায়- মৃত্যুর আগে তিনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তার মেরুদন্ডের হাঁড় বেঁকে যাওয়ার ফলে তিনি ঠিকভাবে চলাফেরাও করতে পারতেন না। এমনকি তার পায়ের গোড়ালির হাঁড়ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেঁকে গিয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা যায় তার মৃত্যু হয়েছিল ম্যালেরিয়াজনিত কারণে।

তবে ১৯৬৮ সালে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান মাথায় ভারী কিছুর আঘাতে তুতেনখামেনের মৃত্যু হয়েছিল। কারণ তার মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মমিকে তিন স্তরে সংরক্ষণ করা হয়েছিলো তিনটি স্বর্ণে মোড়ানো পাতে যেনো তার বিকৃত চেহারা কেও দেখতে না পায়।

মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাসে প্রখ্যাত ফারাও রাজাদের মধ্যে তুতেন খামেন ছিলেন তুলনামুলকভাবে কম পরিচিত। তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তার মমি আবিষ্কারের পর। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রায় প্রত্যেকটি মমি দস্যুদের হাতে পড়লেও তুতেনখামের মমি ছিল তাদের ধরা ছোয়ার বাহিরে। পিরামিডে প্রবেশ করতে পারলেও তারা মমি পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি। আর এ জন্যই তুতেনখামের যাবতীয় ধন-সম্পদ ছিল অক্ষত।

ইংল্যান্ডের ধনকুবের লর্ড কার্নারভন এর অর্থায়নে ১৯২২ সালে সর্বপ্রথম প্রফেসর হাওয়ার্ড কার্টার ও তার দল তুতেন খামেনের সমাধিতে পৌঁছতে সমর্থ হন। লর্ড কার্নারভনের অনেক ইচ্ছে ছিল নতুন কোনো পুরাকীর্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনিও ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন। সেজন্য তিনি কার্টারকে বললেন, নতুনভাবে খননকাজ শুরু করতে। খরচের সম্পূর্ণ বিষয়টা তিনি একাই সামলাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।

১৯১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয়। কিন্তু পাঁচ বছরেও কোন কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তখন একপ্রকার নিরাশ হয়ে লর্ড কার্নারভন জানালেন, এই খননকাজের পেছনে আর কোনো পয়সা খরচের ইচ্ছা নেই তার। কিন্তু, কার্টার বহু অনুরোধের করে আরো একটি বছর চেয়ে নিলেন কার্নারভনের কাছ থেকে। ১৯২২ সালের নভেম্বরে আবারও শুরু করা হলো কাজ। নভেম্বরের ৪ তারিখ, সকাল ১০টা। কার্টারের এক শ্রমিক খুঁড়তে গিয়ে একটি সিঁড়ির সন্ধান পায়। সিড়িটি শেষ হয়েছে ফারাও তুতেনখামের নাম লিখিত একটি দরজায়। দরজাটির উপর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিশরীয় রাজকীয় কবরখানার সিল। সেই দরজাটি খোলার পর কার্টার  আরও একটি দরজা দেখতে পান।

১৯২২ সালের ২৬ নভেম্বর কার্টার দ্বিতীয় দরজাটির গায়ে একটা ফুটো করে এন্টিচেম্বারটির ভেতরে কী আছে তা দেখার চেষ্টা করলেন। যা দেখলেন তাতে তার বিস্ময়ের সীমা রইল না। দেখলেন সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো পালঙ্ক, সোনা-রুপার তৈরি একটি সিংহাসন, খাদ্য সংরক্ষণের অনেক বাক্স এবং আরও মূল্যবোন কিছু জিনিসপত্র। সব কিছুই অগোছালা ছিল।

পরবর্তী দুই মাস কার্টার ওইসব মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রচুর ছবি তুললেন। কিন্তু শুধু ছবি তুলেই কারনাভান ও কার্টার সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। বহু চেষ্টা করে ১৯২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারা দরজাটি ভাঙতে সক্ষম হলেন। এন্টিচেম্বারে সোনার তৈরি একটি বড় বাক্স ছিল। তার ভেতর ছিল একই রকম অপেক্ষাকৃত ছোট আরও তিনটি বাক্স। চতুর্থ বাক্সটি ছিল মূলত হলুদ স্ফটিকমণির তৈরি একটি কফিন। কফিনটির ভেতরে একই রকম আরও তিনটি কফিন পাওয়া গেল। শেষ কফিনটি ছিল সোনার তৈরি এবং তার ওজন ছিল প্রায় ১৩৫ কিলোগ্রাম।

কার্টার তার খননদল, লর্ড কার্নারভন, মিশরের যুবরাজ, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ও মিশরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সামনে চতুর্থ কফিনটির ডালা খুলেন প্রত্নতত্ত্ববিদদ্বয়। সেখানে তারা আবিষ্কার করলেন ফারাও তুতেন খামেনের মমিকৃত দেহ। মৃত ফারাওর মাথা ও কাঁধ ঢাকা ছিল একটি চমৎকার স্বর্ণের মুখোশে। তার বুকের উপর পড়ে ছিল কিছু শুকনো ফুল।

সমাধি কক্ষে কার্টার প্রাচীন মিশরীয় লিপিতে কিছু লেখা দেখতে পান। হায়ারোগ্লিফিকের ভাষা থেকে এর মর্মার্থ উদ্ধার করলে এমন দাঁড়ায়, ‘যে রাজার চিরশান্তির ঘুম ভাঙাবে, তার উপর নেমে আসবে অভিশাপ।’

সমাধিস্থলে যারা গিয়েছিল কিংবা খনন কাজের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল প্রায় প্রত্যেকেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। শুধুমাত্র কার্টার ২ মার্চ ১৯৩৯  সালে ৬৪ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। যাদের মৃত্যু হয়েছিল সেটা অভিশাপ ছিল নাকি কাকতালীয় তার নিয়ে আজ পর্যন্ত মতভেদ রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ঘটনাগুলো।

১. তুতেনখামেনের সমাধি উন্মোচনের পরের দিনই কার্টারের প্রিয় গুপ্তচর পাখি ক্যানারি এক গোখরোর ছোবলে মারা যায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ফারাওদের মুকুটে গোখরোর ফণা তোলা সাংকেতিক চিহ্ন বিদ্যমান।

আরও পড়ুন: ৭০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে এসে সানিয়াকে হত্যা করলেন সাহিল।

২. ১৯২৩ সালের ৫ এপ্রিল এই খনন অভিযানে অর্থের যোগানদাতা লর্ড কার্নারভন মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ বলেন তিনি সামান্য এক মশার কামড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার গালে ঠিক ওই জায়গায় মশার কামড় ছিল মমিটির গালে যে জায়গায় একটি ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। আবার কারও কারও মতে, শেভ করার সময় গলা কেটে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে মারা যান তিনি।

৩. লর্ড কার্নারভনের মৃত্যুর কয়েক-ঘণ্টা পরেই তার কুকুরটি কোনো একটা কিছুকে তাড়া করতে গিয়ে মারা যায়।

৪. সমাধিতে যারা পা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে আমেরিকান ধনকুবের জর্জ গোল্ড অন্যতম, যিনি পেশায় ছিলেন রেলপথ নির্বাহী। ১৯২৩ সালে তুতেনখামেনের সমাধি পরিদর্শনকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর আর সুস্থ হননি। কয়েক মাস নিউমোনিয়ায় ভুগে তিনি মারা যান।

৫. সমাধির ভেতরের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন তৎকালীন মিশরের যুবরাজ আলি কামেল ফাহমি। ১৯২৩ সালে নিজ পত্নীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান যুবরাজ।

৬. তুতেনখামেনের মমি সর্বপ্রথম এক্স-রে করেছিলেন স্যার আর্চিবোল ডগলাস বে। এক্স-রে করার পরের দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই অসুস্থতা তার শরীরে বিদ্যমান ছিল বহুদিন। ১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

৭. ফ্র্যাঙ্ক র‍্যালে নামক একজন ফটোগ্রাফার ছবি তুলেছিলেন তুতেনখামেনের কবর ঘরে। তিনি অন্ধ হয়ে ভগ্নহৃদয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

৮. দক্ষিণ আফ্রিকার ধনী ব্যবসায়ী ওল্ফ জোয়েল শখের বশে সাক্ষী হয়েছিলেন তুতেনখামেনের মমি দেখার। এর কিছুদিন পরেই সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে স্ট্রোক হয় তার। তাতে মারা যান তিনি।

৯. সমাধিটি দেখতে এসেছিলেন সুদানের গভর্নর জেনারেল স্যার লি স্ট্যাক। তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয় কায়রোতে।

১০. আর্থার মেস নামক এক খননকর্মী ছিল কার্টারের দলে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় তিনি বেঘোরে প্রাণ হারান ১৯২৮ সালে।

১১. তালিকায় আছে হাওয়ার্ড কার্টারের পার্সোনাল সেক্রেটারি রিচার্ড বেথেলও। তিনিই কার্টারের পেছনে সবার আগে সমাধিতে প্রবেশ করেছিলেন। ১৯২৯ সালের ১৫ নভেম্বর লন্ডনের একটি অভিজাত ক্লাবের কামরা থেকে তার পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।

১২. রিচার্ড বেথেল তার বাড়িতে তুতের সমাধি থেকে পাওয়া কিছু প্রত্ন সম্পদ তার বাড়িতে সাজিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। রিচার্ডের বাবা বৃদ্ধ লর্ড ওয়েস্টবেরি প্রায় সময়ই আপনমনে বিড়বিড় করে বলতেন, "এই জিনিসগুলো অভিশপ্ত। এগুলোতে ফারাওয়ের অভিশাপ রয়েছে।" তিনি নিজের লেখা সর্বশেষ চিরকুটে লিখে যান, "এই বিভীষিকা আমি আর সহ্য করতে পারছি না, আমি এর থেকে চির মুক্তি চাই।" তারপর তিনি সাত তলা দালান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

১৩. মৃত্যুর পাঁচ দিন পর লর্ড ওয়েস্টবেরির কফিনকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে গোল্ডার্স গ্রিনের কবরখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সেই গাড়িতে ধাক্কা লেগে আট বছরের এক বালক নিহত হয়।

১৪. লর্ড কার্নারভনের মৃত্যুর ৫ মাস পরেই তার ভাই অব্রে হারবার্টের মৃত্যু ঘটে। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অব্রে হারবার্ট। এছাড়াও তখন দাঁতের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, দাঁতের সংক্রমণই তার অন্ধত্বের মূল কারণ। পরবর্তীতে কয়েক দফায় তার সংক্রমণ যুক্ত দাঁত তুলে ফেলা হলেও চোখের আলো ফিরে পাননি তিনি। অতিরিক্ত অস্ত্রোপচারের ফলে সেপসিসে মারা যান অব্রে।

১৫. সমাধি আবিষ্কারের সময় কার্টারের সাথে ইভেলিন-হোয়াইট নামক আরেক ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে ১৯২৪ সালের মধ্যে প্রায় বারো জন সহকর্মী হারান তিনি। অস্বাভাবিক গোছের ধারাবাহিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রচণ্ড ঘাবড়ে যান ইভেলিন-হোয়াইট। এর কিছুদিন পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুবরণ করার আগে তিনি এক চিঠিতে লিখে যান, ‘আমি এমন এক অভিশাপের সম্মুখীন হয়েছি, যা আমাকে মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বাধ্য করেছে।’

এছাড়া কার্টারের সাথে যেকজন খননকর্মী ছিল ছয় বছরের মধ্যে তাদের কোন না কোন ভাবে মৃত্যু হয়। মিশরীয়দের মতে এগুলো অভিশাপের ফল হলেও বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

১. তুতেনখামেনের অভিশাপের গল্পটি শুরু হলে প্রথম দিকেই স্থান পায় গোখরো কর্তৃক কার্টার ক্যানারি পাখি বধ। গুজবটি ছড়ায় মূলত কার্টারের মিশরীয় এক পরিচারক।

২. একবার গুজব ছড়ায়, তুতেনখামেনের কফিনের উপরে মিশরীয় চিত্রলিপিতে এক অভিশপ্ত বাণী বর্ণিত ছিল, যা দেখে শ্রমিকরা ভয়ে কাজ বন্ধ রাখে বেশ কিছুদিন। কিন্তু শিক্ষাহীন বা স্বল্প শিক্ষিত শ্রমিকেরা হাজার বছরের পুরনো হায়ারোগ্লিফিকের মর্মোদ্ধার করবে কীভাবে? এজন্য হতে হয় ঝানু বিশেষজ্ঞ, করতে হয় বিস্তর পড়াশোনা। তাই সত্যের কষ্টিপাথরে এই গুজবটিও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। আবার তুতের সমাধি বা শবাধারের ছবিগুলোতে অভিশপ্ত কোনো বাণী পাওয়া যায়নি।

৩. সবচেয়ে বেশি জল ঘোলা হয় লর্ড কার্নারভনের মৃত্যুকে ঘিরে। একদিন শেভ করার সময় ভুলবশত তিনি গালের মশার কামড়ের একটি জায়গা ব্লেডের আঁচরে কেটে ফেলেন। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ব্লাড ইনফেকশনে। এই সংক্রমণের পর মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর ফলে অভিশাপ তত্ত্বের পালে হাওয়া লাগে আরও ঝড়ো বেগে। একইদিনে লন্ডনে তার কুকুর ‘সুশি’ মারা যাওয়ায়, দুই মৃত্যুকে কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে চমৎকার ও মুখরোচক ভৌতিক গল্প ছড়াতে থাকে সংবাদপত্রগুলো। তাছাড়া, ১৯০৩ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি আগে থেকেই দুর্বল ছিলেন। এর বাইরেও তিনি ফুসফুস-জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শবাধারে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া তার ফুসফুসের সমস্যাকে আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল, যার ফলে তার মৃত্যু ঘটাটাই স্বাভাবিক ছিল তার।

৪. ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ২০০২ সালে প্রকাশিত এক আর্টিকেলে জানায়, খননকাজের সাথে যুক্ত ৪৪ জন ব্যক্তির অধিকাংশই স্বাভাবিকভাবে এবং পরিণত বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর যারা কোন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মৃত্যুও ঘটেছে সমাধি খননের ১০ বছরের মধ্যে।

৫. টানা সাত বছর ধরে তুতের সমাধি সৌধ পাহারা দিয়েছিলেন খননদলের আরেকজন সদস্য রিচার্ড অ্যাডামসন। তিনি বেঁচেছিলেন আরও ৬০ বছর পর্যন্ত।

৬. অনেক মিশরবিদের ধারণা, কার্টার চোর ডাকাতের লুটপাটের হাত থেকে তুতের চ্যাম্বারকে বাঁচানোর জন্যই ইচ্ছা করেই অভিশাপের এই গুজব রটিয়েছেন।

সূত্র: ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence