বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’, হার মানাবে বুর্জ খলিফাকে

স্কাই মাইল টাওয়ার
স্কাই মাইল টাওয়ার  © সংগৃহীত

বিশ্বের উচ্চতম ইমারতগুলিতে ঘুরতে যেতে চান? তবে, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা অথবা প্যারিসের আইফেল টাওয়ার নয়, সে জন্য আপনাকে যেতে হবে জাপানে। উচ্চতম ভবন নির্মাণ করে বিশ্বে নজির গড়তে চলেছে টোকিয়ো শহর।

‘নেক্সট টোকিয়ো ২০৪৫’ পরিকল্পনার অন্তর্গত এই বিরাট ইমারতের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’। এর উচ্চতা ১,৭০০ মিটার (৫,৫৭৭ ফুট)। উচ্চতার নিরিখে, বুর্জ খলিফা ও আইফেল টাওয়ারকেও পার করবে স্কাই মাইল। তথ্য অনুযায়ী, এই ইমারতটি বুর্জ খলিফার যা উচ্চতা, তার দ্বিগুণ এবং আইফেল টাওয়ারের চেয়ে পাঁচ গুণ উঁচু।

বিশ্বের অন্যতম স্থাপত্য নির্মাণ সংস্থা কোহন পেডেরসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস টোকিয়োতে এই ভবনটি তৈরি করবে। এই সংস্থার প্রধান দফতর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে রয়েছে।

এই টাওয়ারের নির্মাতা (স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার) লেসলি ই রবার্টসন। এর আগেও বহু বিখ্যাত ইমারত নির্মাণের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে। হং কং-এর ব্যাঙ্ক অব চায়না টাওয়ার থেকে শুরু করে সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার, কুয়ালা লামপুরের পিএনবি ১১৮— এগুলি রবার্টসনের মস্তিষ্কপ্রসূত।

টোকিয়োতে এত বড় ইমারত নির্মাণের জন্য কোনও জমি অবশিষ্ট ছিল না। তাই টোকিয়ো বে অঞ্চলে একটি কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করে তার ঠিক মাঝখানে এই টাওয়ারটি বানানো হবে। অনেকটা দুবাইয়ের বুর্জ আল আরবের মতো। পরিকল্পনামাফিক ২০৩০ সাল থেকে এর নির্মাণকার্য শুরু হবে। ২০৪৫ সালের মধ্যে এর সম্পূর্ণ কাজ শেষ করবে বলে সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হ্যাকিং করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল

‘নেক্সট টোকিয়ো ২০৪৫’ প্রজেক্টটিকে একটি শহরের সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে। কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জেই পাঁচ লক্ষ মানুষ থাকতে পারবে। এর মধ্যে শুধু এই টাওয়ারেই ৫৫ হাজার মানুষ এক ছাদের তলায় থাকতে পারবে। তবে, সমুদ্রের মাঝে এত উঁচু ইমারত তৈরি করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

রবার্টসন এমন ভাবেই এই ইমারতের ডিজাইন তৈরি করেছেন যা আলাদা ভাবে নজর কাড়তে বাধ্য। উচ্চতা বেশি হওয়ায় জোর বাতাস অথবা ঝোড়ো হাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে ইমারতটিকে ষড়ভুজ আকারে বানানো হবে।

এর ফলে পুরো ইমারতটিই বায়ু প্রতিরোধী হিসাবে কাজ করবে। ৪২১ তলার এই টাওয়ারের উপরের তলায় জল পৌঁছনো একটি গুরুতর সমস্যা। এর জন্য ব্যবস্থা করেছেন রবার্টসন। ইমারতের মাঝে জল জমিয়ে রাখার জন্য বিশেষ ধরনের ‘স্টোরেজ’ তৈরি করা হবে।

এ ছাড়াও বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জলস্তর বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় মাথায় রেখেই স্কাই মাইল টাওয়ারটি তৈরি করছেন রবার্টসন।

এই টাওয়ারে রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে জিম, শপিং মল, হাসপাতাল, হোটেল, লাইব্রেরির ব্যবস্থাও থাকবে। অর্থাৎ এই এলাকায় যাঁরা থাকবেন, তাঁরা যেন হাতের নাগালেই সমস্ত রকম সুবিধা পেয়ে যান সে দিকে খেয়াল রাখতেই সব রকম অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ