ফেসবুকে ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য, ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা

  © প্রতীকী ছবি

ফেসবুকে ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিল এক নাবালক ছেলে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি চোখে পড়ে বাবার, ওই বক্তব্য সমর্থন করেননি তিনি। একপর্যায়ে ছেলেকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পুলিশের দ্বারস্থ হলে ছেলেটিকে তোলা হয় আদালতে। পরে তাকে আদালত পাঠিয়ে দিয়েছেন হোমে। ভারতের উত্তর ২৪ পরগনায় এ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ বলছে, ছেলেটির মন্তব্য ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তার বাবা সচেতন ভূমিকা পালন করেছেন। জেলার একটি থানার কর্মকর্তা কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, ‘ছেলেটি মাধ্যমিকের, একটি অনুচিত কাজ করে ফেলেছে। এ জন্য সে অনুতপ্ত বলে আমাদের জানিয়েছে। তার বাবার ভূমিকা প্রশংসনীয়।’

জেলার এক বিডিও মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘চারিদিকে অসহিষ্ণুতার মধ্যেও ছেলেটির বাবা উদাহরণ তৈরি করলেন।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ছেলেটি কয়েক দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্টে আপত্তিকর মন্তব্য করে। বিষয়টি গত শনিবার জানাজানি হয়। এ নিয়ে ছেলেটির বাবা তাকে বকাবকি করেন। পরে বাড়ির পাশে ভিন্ন ধর্মের এক প্রতিষ্ঠানে তাকে নিয়ে হাজির হন।

আরো পড়ুন: গুই সাপকে ধর্ষণ অভিযোগে সন্দেহভাজন চারজন গ্রেফতার

এ সময় বাবা বলেন, তাঁর ছেলের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী তিনি। এ জন্য ছেলেকে যা সাজা দেবেন, দিতে পারেন। সবার সামনে ছেলেকে মারধরও করেন। পরে তাঁকে শান্ত করেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ক্ষমা করে দিতে বলেন। তবে বাবা পরে হাজির হন থানায়, ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তার ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ছেলেটির বাবার বলেন, ‘ভুল করেছে ঠিক আছে। কিন্তু ওর উপযুক্ত সাজাও হওয়া উচিত। তা না হলে আগামী দিনেও এ ধরনের কাজ করতে পারে।’

টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী পরিশুদ্ধানন্দ বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ ছোটবেলা থেকেই যদি ছেলেমেয়েদের এ ভাবে পরধর্ম সহিষ্ণুতা ও উদারতার শিক্ষা দেন, তা হলে কোথাও ধর্মীয় হানাহানি হবে না।’

বাদুড়িয়ার মৌলবী ওমর ফারুক নাডভি বলেন, ‘এ ভাবে বাচ্চাদের শিক্ষা দিতে হবে, যেন তারা সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখে।’


সর্বশেষ সংবাদ