মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি চাকুরেদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চেয়েছে দুদক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ PM
সরকারি চাকুরিজীবীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের তথ্য জানতে এবার সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
সরকারি চাকুরিজীবীরা ভিন্ন একটি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ‘নৈতিক দায়-দায়িত্বের প্রতি অনাগ্রহী’ হয়ে পড়েছে বলে দুদক দেখতে পেয়েছে। কমিশনের ভাষ্য, এটি কোনোক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর পুনর্গঠিত দুদক এর আগে চলতি বছরের প্রথমদিন সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের তথ্য জানার পদক্ষেপ নেয়। এর অংশ হিসেবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
তার আগে গত ২৩ ডিসেম্বর বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে যারা মন্ত্রী ও সংসদ হয়েছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
মন্ত্রণালয়গুলোকে লেখা চিঠিতে দুদক বলেছে, কিছু অসাধু সরকারি কর্মচারী ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুর্নীতি আড়াল ও আইনি পদক্ষেপ এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
তারা তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ ব্যতীত ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শান্তি অথবা আইনগত পদক্ষেপ এড়ানোর লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেসকল দেশে অবস্থান করছেন।
চিঠিতে বলা হয়, এসকল ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের পাশাপাশি একইসঙ্গে অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকেন। অথচ তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারি চাকুরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
দুদকের পরিচালিত বিভিন্ন অনুসন্ধানকালে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের এরূপ একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য হল, বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত তাদের অবৈধ সম্পদ গোপন করে বিদেশে পাচার ও ভোগ করা। তাদের এরূপ কার্যকলাপ দেশে দুর্নীতির প্রসারে ভূমিকা রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
দুদক বলছে, বিভিন্ন আইন অনুযায়ী কমিশন্ড অফিসার, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হন। এ প্রেক্ষিতে পাবলিক সার্ভেন্ট বা তাদের পোষ্যদের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের তথ্য পর্যালোচনা জরুরি।