হিজাবের অনুমতি না দেয়ায় ভারতের ২৩১ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বর্জন

কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক  © সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে না দেয়ায় ২৩১ শিক্ষার্থী সেই পরীক্ষা বর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে কিছু ছাত্রও রয়েছেন। শুক্রবার রাজ্যটির একটি কলেজে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে, কর্ণাটকের আদালত হিজাব নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি শিক্ষার্থীদের।

আদালতের রায়ের পর মুসলমান নারীরা হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে যায় কলেজে। কিন্তু তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। আদালতের আদেশ অমান্য করলে পরীক্ষায় অংশ নেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে মুসলিম শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পরীক্ষা বর্জন করেন ২৩১ জন, যার মধ্যে ছাত্রও রয়েছেন।

সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় কর্ণাটকে। পরে আদালতও এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। আদালত বলেন, হিজাব পরতে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নেই। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড মানতে হবে। তাই হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। এই রায়ে ক্ষুব্ধ হন মুসলমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছাত্রীরা এই রায়ের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের যে মেডিকেলে অমুসলিমদেরও হিজাব বাধ্যতামূলক

কর্ণাটকে উগ্র হিন্দুদের সামনে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে আলোচনায় আসেন কলেজ ছাত্রী মুসকান। হিজাব পরায় তাকে কটাক্ষ করা হয়েছিলো। তার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হিজাবের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেন অনেকেই। পোষাক পরিধানে বাধা থাকা উচিত নয় এবং এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন অনেক ভারতীয়। সেই ঘটনার পর মুসলমান ছাত্রীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতিেআদালত এই রায় দেন।


সর্বশেষ সংবাদ