ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ করা উচিত: ওয়াইসি

আসাউদ্দিন ওয়াইসি
আসাউদ্দিন ওয়াইসি  © ফাইল ছবি

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাস হয়েছে। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন দেশটির একাধিক নেতা। এদের মধ্যে অন্যতম হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য ও সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের প্রেসিডেন্ট আসাউদ্দিন ওয়াইসি।

দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে একজন মেয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, ব্যবসা শুরু করতে পারে, সংসদ সদস্য হতে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর পদে নির্বাচন করতে পারে। তা হলে জীবনসঙ্গী নয় কেন? আমি মনে করি যে, ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত।’

পড়ুন: করোনাকালে এক স্কুলের ৪০ ছাত্রীর বিয়ে

এর আগে, গত প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হবে। এরপর এ বিষয়ে নীতি প্রয়োগের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি মাসেই টাস্কফোর্স একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে বয়স বাড়ানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন তারা। এরপরেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।

পড়ুন: কলেজছাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করলেন তরুণী

আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, বয়স বাড়ানো তো দূরের কথা, উল্টো ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত। একজন ১৮ বছর বয়সি মেয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন, তা হলে জীবনসঙ্গীও নির্বাচন করতে পারবেন।

পাস হওয়া প্রস্তাবনাকে বিজেপি সরকারের ‘পিতৃত্ববাদের একটি খুব ভালো উদাহরণ’ বলে কটাক্ষ করেন ভারতের এই মুসলিম সংসদ সদস্য। শুধু ওয়াইসিই নয়; মোদি সরকারের এই বয়স সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা।

পড়ুন: বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী শূন্য বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা

এ বিষয়ে সৈয়দ তোফায়েল হাসান নামের এক নেতা যুক্তি দেখান, ‘১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়। নারীর বয়স বেশি হলে দুই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত বন্ধ্যত্বের আশংকা। দ্বিতীয়ত সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া, যা প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ।’


সর্বশেষ সংবাদ