‘হামাস যোদ্ধারা আমাদের জীবন বাঁচিয়েছেন’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৯ AM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩২ AM

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেজ দুই ইসরায়েলি বন্দির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ভিডিওতে তারা তাদের মুক্তির জন্য ইসরাইল সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে দেশটির জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ওই ভিডিওতে এক বন্দি বলেন, আমরা মুক্ত বাসাতে নিঃশ্বাস নিতে চাই, আকাশের চাঁদ, তারা দেখতে চাই। আমাদেরকে বাঁচাও।
তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি অভিযোগের সুরে বলেন, ইসরায়েলি আর্মি আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি আমরা যে ভবনে থাকি সেখানেও বোমা মারা হয়েছে। অথচ আমরা মুক্তি চাই।
এই বন্দি আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে। তারা বোমার কবল থেকে রক্ষা করে আবার টানেলের ভেতরে নিয়ে এসেছে আমাদেরকে।
তিনি বলেন, ৩০ মিটার মাটির নিচে টানেলর মধ্যে আমরা অবস্থান করছি। এখানে কোনো সূর্য্যের আলো নেই।
এই বন্দি ইসরায়েলিদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সরকারকে বন্দি মুক্তির ব্যাপারে চাপ দিতে বলেছেন তিনি।
আরেক বন্দি বলেন, তোমরা সরকারের কথা বিশ্বাস করো না। তারা তোমাদের বলছে যে তারা হামাসকে চাপ দিচ্ছে কিন্তু আসলে তারা বোমা হামলা ছাড়া কিছুই করছে না। এমনকি এতে আমরাও আহত হচ্ছি।
ভিডিওটির শেষে লেখা দেখা যাচ্ছে, কেবল যুদ্ধবিরতিই বন্দিদের মুক্তি দিতে পারে।
ইসরাইলের ধারণা, এখনো গাজায় প্রায় ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি জিম্মি রয়েছে। যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত। আর ইসরাইলের হাতে বন্দি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তারা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
রবিবার (৬ এপ্রিলা ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। এর সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিদ্যালয় (রাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাপ্রবি), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।