নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাকরান অঞ্চলে

ইরানের রাজধানী কি আর থাকছে না তেহরান?

তেহরান, ইরান
তেহরান, ইরান  © সংগৃহীত

তেহরানে জনসংখ্যাসহ পানি-বিদ্যুতের সংকট ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইরানের সিদ্ধান্ত এবার রাজধানী স্থানান্তরের।  ইরান তাদের রাজধানী দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল মাকরানে স্থানান্তর করবে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে ইরান। 

গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এই তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। অনেকে অবাস্তব বলছেন এমন সিদ্ধান্তকে। 

ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘নতুন রাজধানী অবশ্যই দক্ষিণে, মাকরান অঞ্চলে হবে এবং বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।’ তিনি তেহরানের ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত চাপ, পানি-বিদ্যুতের সংকটের কথা তুলে ধরেন এবং মাকরান অঞ্চলে সমুদ্র-ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য দুটি কাউন্সিল গঠনের ঘোষণা দেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদসহ শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছি।’

তবে বিষয়টি এখনও অনুসন্ধানের পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের যুক্তি হল- ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ তেহরান, আয়-ব্যয়েও নেই ভারসাম্য। পারস্য উপসাগরের কাছে রাজধানী স্থানান্তরের বিষয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।  

আড়াইশ' বছরের পুরোনো রাজধানী নগরী তেহরান। দু'শ' বছরেরও বেশি সময় ধরে পারস্য উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরানের রাজধানী নগরী। 

তেহরান পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং কায়রোর পরে মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটান এলাকা। মহানগর এলাকার জনসংখ্যার দিক এটি থেকে সারা বিশ্বে ২৪তম স্থানে রয়েছে।  


সর্বশেষ সংবাদ