বাংলাদেশে পাসপোর্ট বাতিলের দিনেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে আওয়ামী শাসনামলে গুম ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। আর এর পরই জানা গেল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।

নাম প্রকাশ না করে সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানের সুবিধার্থে সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসা বাড়ানো হয়েছে। ভারতে শরণার্থী এবং অ্যাসাইলামের কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই উল্লেখ করে দেশটিতে হাসিনার অ্যাসাইলাম মঞ্জুরের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে সূত্রটি।
 
বিস্তারিত উল্লেখ না করে ভারতীয় সূত্রটি আরও জানায়, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পদক্ষেপটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং এটি করা হয় স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) মাধ্যমে।

এদিকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, গুম ও জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সরকার শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত রোববার (৫ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার চিঠির কোনো উত্তর এখনও ভারত দেয়নি। [সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস]


সর্বশেষ সংবাদ