এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ভারতীয় তরুণী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৬ AM , আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২২ AM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি শহর থেকে চার বছর আগে নিঁখোজ হয়ে যান ভারতীয় এক তরুণী। তদন্তে নেমে তার নাম মোস্ট ওয়ান্টেড পারসনের তালিকায় রেখেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এমনকি, তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে মোটা অংকের অর্থ পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছে সংস্থাটি!
এফবিআই জানিয়েছে, ওই তরুণী এখন কোথায়, তা নিয়ে বিশদ তথ্য দিলে তথ্য প্রদানকারীকে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবে তারা। এই অর্থ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট লাখ রুপি ও বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখেরও বেশি টাকা।
ওই তরুণীর নাম ময়ুশি ভগত (২৯)। কয়েক বছর আগে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল নিউ জার্সি শহর থেকে নিঁখোজ হন। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার পরনে ছিল একটা রঙিন পাজামা ও কালো টি-শার্ট।
ওই বছরের ১ মে ময়ুশির পরিবার নিউ জার্সি সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তার পর সাড়ে চার বছর কেটে গেলেও, ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ও তার নিখোঁজ হওয়ার রহস্যও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি সেই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এফবিআই। এ বিষয়ে জার্সি সিটি পুলিশের সাহায্য নেয়ার পাশাপাশি জনগণেরও সাহায্য চেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসেই ময়ুশির নাম নিজেদের নিখোঁজ তালিকায় যুক্ত করেছে এফবিআই। সম্প্রতি তাদের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ পেজে ওই তরুণীর ছবি পোস্ট করে সাধারণ মানুষের সাহায্য ও খুঁজে দিতে পারলে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে তারা।
পুলিশ রেকর্ড বলছে, ১৯৯৪ সালে ভারতেই জন্ম ময়ুশি ভগতের। ২০১৬ সালে এফ ওয়ান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ভর্তি হন নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। তার গায়ের রঙ শ্যামলা ও তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, যা সাধারণ ভারতীয় মেয়েদের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। তার চোখের মণি বাদামি ও চুল রঙ কালো। ইংরেজি, হিন্দি ও উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারেন ময়ুশি।
তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে নিউ জার্সি ও দক্ষিণ প্লেনফিল্ডে বেশকিছু বন্ধু-বান্ধব হয়েছিল ময়ুশির।
কিন্তু চার বছর পরে কেন তার নাম এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড পেজে উঠলো। আর কেনই বা ভারতীয় ছাত্রীকে নিয়ে এত দিন পরে এফবিআইয়ের এমন তা নিয়ে ক্রমেই রহস্য বাড়ছে।