চিকিৎসকের ভুলে ১১ বছর পেটে সুই বয়ে বেড়ালেন নারী

মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডা ফরেরো
মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডা ফরেরো  © সংগৃহীত

কলম্বিয়ার এল রেটোর্নোর সান ইসিড্রো গ্রামের বাসিন্দা মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডা ফরেরো। চতুর্থ সন্তানের জন্মের পর সিদ্ধান্ত নেন লাইগেশনের। ২০১২ সালে সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারে শহরে অপারেশন হয় তার। 

আর এরপরই শুরু হয় মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডার দুঃস্বপ্নের জীবন। অপারেশনের পর প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়েই প্রায় একযুগ পার করেছেন এই নারী। কারণ অস্ত্রোপচারের সময় সুতাসহ একটি সুই তার পেটে রয়ে যায়। আর এ বিষয়টি জানতে পারেন কিছুদিন আগেই। সম্প্রতি দেশটির স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এ তথ্য।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সান জোসে ডেল গুয়াভিয়ারে ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার হয় মারিয়ার। অস্ত্রোপচারের পর সমস্যা মনে হয়নি। ফলে কয়েক দিন পরই হাসপাতাল ছাড়েন এবং সন্তানদের যত্ন নিতে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন মারিয়া অ্যাডেরলিন্ডা। তবে যতবারই তিনি চিকিৎসকের কাছে গেছেন শুধু ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: থেমে নেই ‘প্রশ্নফাঁস প্রতারক’ চক্রের তৎপরতা, কঠোর মন্ত্রণালয়

মারিয়ার গ্রাম থেকে সান জোসে ডেল গুয়াভিয়ারে ক্লিনিকে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তার পরিবারের মাত্র একটি মোটরসাইকেল থাকায় বৈরি আবহাওয়াতে কখনও কখনও ক্লিনিকে যেতে কষ্ট হতো। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ খেতেন তিনি।

চিকিৎসকের পরামর্শে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়েছে তাকে। দিনের পর দিন এসব ওষুধে যখন কাজ হচ্ছিল না, শেষ পর্যন্ত এমআরআই এবং আল্ট্রাসাউন্ড করালে ব্যথার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসে। দেখা যায়, তার পেটে একটি লম্বা সুতোয় সুই রয়েছে।

এই সুই কীভাবে অপসারণ করা যায়, সার্বিক বিষয়ে করণীয় নিয়ে আগামী ১২ মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। শিগগিরই ১১ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। ২০১২ সালে অপারেশনের সময় চিকিৎসক বা ক্লিনিকের ভুল ছিল কিনা, এ বিষয়ে রিপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল


সর্বশেষ সংবাদ