বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি: সাত দশকের গৌরবময় অগ্রযাত্রা

লেখক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
লেখক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি  © টিডিসি ফটো

মৌলিক গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃজন এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’। ১৯৫২ সাল আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও বাঁক পরিবর্তনকারী বছর। এই বছরের ৩ জানুয়ারি এশিয়ার মানুষ, তাদের জীবন ও কর্ম এবং প্রকৃতি বিষয়ে গবেষণা এবং এ কাজে আত্মনিয়োগে গবেষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি’ নামে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’ নামকরণ করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আঠারো শতকের শেষ দিকে এশিয়ার মানুষ ও প্রকৃতি বিশেষ করে ভারত চর্চা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ ও কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি স্যার উইলিয়ম জোনস (১৭৪৬-১৭৯৪)। জোনস তাঁর কতিপয় উৎসাহী বন্ধু ও সহকর্মীর সহায়তায় ১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় ‘দি এশিয়াটিক সোসাইটি’ (The Asiatick Society) নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি জোনস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পূর্বোক্ত সংস্থাটির আদলে গঠিত একটি সংগঠন।

স্মর্তব্য যে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে কিছুসংখ্যক পণ্ডিত ঢাকায় চলে আসেন। তাঁরাই কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির আদলে ঢাকায় একটি বিদ্বৎসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার ধারণা দেন। তবে ঢাকাতে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোগী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৎকালীন শিক্ষক এবং ঢাকা জাদুঘরের কিউরেটর ড. আহমদ হাসান দানী (১৯২০-২০০৯)। ড. দানীর এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ভাবনা ও উদ্যোগকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন জানিয়ে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছিলেন অধ্যাপক ড. আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. আই. এইচ. জুবেরী, ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. ডব্লিউ. এইচ. এ সাদানি, ড. আবদুল হালিম ও ড. সিরাজুল হক, আবদুল হামিদ, সৈয়দ মুহাম্মদ তৈফুর, খান বাহাদুর আবদুর রহমান, শেখ শরাফুদ্দীন ও জে. এস. টার্নার প্রমুখ খ্যাতিমান পণ্ডিতবর্গ। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ড. আহমদ হাসান দানীর সহকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৫২ সালের ৩ জানুয়ারি তাঁরা এক সভায় মিলিত হয়ে ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অব পাকিস্তান’ প্রতিষ্ঠা করেন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৭২ সালে এর নাম থেকে পাকিস্তান বিযুক্ত করে বাংলাদেশ যুক্ত করা হয়। প্রথমে ঢাকার নবাবদের বিখ্যাত প্রাসাদ কমপ্লেক্স ‘নিমতলী কুঠি’তে অবস্থিত তৎকালীন ঢাকা জাদুঘর থেকে এশিয়াটিক সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান ঠিকানা থেকে সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আগামী ৩ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ এশিয়টিক সোসাইটি এর গৌরবময় অগ্রযাত্রার সাত দশকে পদার্পণ করছে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে এর সংগঠক, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গবেষক ও সদস্যদের শ্রম ও নিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে গেছে। মৌলিক গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তি চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।

এশিয়াটিক সোসাইটি একটি অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ১৮৬৪ সালের সোসাইটি অ্যাক্ট এবং এনজিও ব্যুরো, বাংলাদেশ সরকারের অধীনে নিবন্ধিত এই প্রতিষ্ঠানটি এর সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত ১৭ সদস্যের কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কাউন্সিলে থাকেন একজন প্রেসিডেন্ট, তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন সম্পাদক এবং ১০ জন সদস্য। সোসাইটির গঠনতন্ত্র সংরক্ষণ, কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালনা কাউন্সিলের প্রধান দায়িত্ব।

শুধু জ্ঞান চর্চা ও গবেষণা নয়, সোসাইটি জ্ঞানের সাধকদের উৎসাহিত ও তাঁদের কর্মের স্বীকৃতিও প্রদান করে থাকে। এ লক্ষ্যে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিথযশা পণ্ডিত ও গবেষকদের তাঁদের পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। বিগত সাত দশকে মোট ৪৬ জন দেশি-বিদেশি পণ্ডিতকে সোসাইটির ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সোসাইটি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মানসূচক সদস্যপদ (Honourary Membership) প্রদান করে।

এশিয়াটিক সোসাইটির একটি প্রকাশনা বিভাগ রয়েছে। পণ্ডিত ও গবেষকদের তাঁদের গবেষণা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ সোসাইটি থেকে প্রকাশ করতে উদ্বুদ্ধ করে। এখান থেকে এ পর্যন্ত স্থানীয় ও বিদেশী গবেষক ও পণ্ডিতদের রচিত ও সম্পাদিত ১৪৭টি গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সিরিজের একাধিক গ্রন্থ রয়েছে এবং সব মিলিয়ে সোসাইটি থেকে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা আড়াই শতাধিক। এশিয়াটিক সোসাইটির উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে, সিরাজুল ইসলাম সম্পাদিত History of Bangladesh 1704-1971 (৩ খণ্ড, ইংরেজি ও বাংলা সংস্করণ); সিরাজুল ইসলাম (প্রধান সম্পাদক), বাংলাপিডিয়া: জাতীয় জ্ঞানকোষ (১৪ খণ্ড, বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ); এ বি এম হোসেন (সম্পাদিত), Gawr-Lakhnawati; Sonargaon-Panam; Mainamati-Devaparvata; সিরাজুল ইসলাম (প্রধান সম্পাদক), বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা (১২ খণ্ড, বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ); জিয়া উদ্দিন আহমেদ (প্রধান সম্পাদক), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ (২৮ খণ্ড, বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ); আহমেদ আবদুল্লাহ জামাল (সম্পাদিত), ছোটদের বাংলাপিডিয়া (২ খণ্ড, বাংলা ও ইংরেজি); শরীফ উদ্দিন আহমেদ (প্রধান সম্পাদক), Celebration of 400 years of Capital Dhaka: 1608-2008 (18 vols.); নজরুল ইসলাম (প্রধান সম্পাদক), বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাটলাস, আবদুল মমিন চৌধুরী (সম্পাদিত), History of Bangladesh: Early Bengal in Regional Perspectives. [up to c. 1200 CE, (2 Vols. বাংলা ও ইংরেজি), এবং History of Bangladesh: Sultanate and Mughal Periods [c. 1200 to 1800 CE (2 Vols. বাংলা ও ইংরেজি) ইত্যাদি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ সোসাইটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ (১০ খণ্ড) নামক একটি পরিধিবহুল গ্রন্থ সিরিজ। গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হারুন-অর-রশিদ। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয়েছে Bangladesh: 50 Years of Transformation Since Liberation নামক একটি সঙ্কলন গ্রন্থ । এই গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শিগগরিই প্রকাশ হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালা’ নামে আরেকটি সঙ্কলন গ্রন্থ।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে নিয়মিত ৩টি ষান্মাসিক মাসিক গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হয়। The Journal of the Asiatic Society of Bangladesh (Humanities.), Journal of the Asiatic Society of Bangladesh (Sciences) এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকা। এসব জার্নাল ছাড়াও সোসাইটির চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে সদস্যদের অবহিত করার জন্য একটি ত্রৈমাসিক নিউজলেটার প্রকাশ করা হয়। সোসাইটির সকল সদস্যকে বিনামূল্যে এসব জার্নাল ও নিউজলেটারের কপি প্রদান করা হয়। প্রকাশিত গ্রন্থাদি সদস্যদের অর্ধেক মূল্যে প্রদান করা হয়।

এশিয়াটিক সোসাইটি বড় ধরনের যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। তাছাড়া, সোসাইটি বিদেশি গবেষকদের এদেশে তাদের গবেষণাকর্ম পরিচালনার জন্য মঞ্জুরি ও সহায়তা দিয়ে থাকে। এ ধরনের গবেষকরা সোসাইটির গ্রন্থাগার ব্যবহার ও আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। দেশি গবেষকদর জন্যও সোসাইটি গবেষণা বৃত্তি ও সহায়তা প্রদান করে থাকে।

একাডেমিক সাধনা এবং মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের প্রসার ও মানবিক বোধ প্রসারের মহৎ লক্ষ্য সামনে রেখে এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৮৪ সাল থেকে তার এনডোমেন্ট প্রোগ্রাম শুরু করে। অনেক মহৎপ্রাণ জনহিতৈষী ও জ্ঞান পিপাসু ব্যক্তি এই প্রোগ্রামকে সফল করতে এগিয়ে আসেন। গবেষণার মাধ্যমে একাডেমিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সোসাইটিতে ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সোসাইটিতে ৪২ ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ট্রাস্ট ফান্ডগুলোর আওতায় পাবলিক লেকচার আয়োজন, গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা, গবেষণা মঞ্জুরি এবং গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য গবেষকদের সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও সোসাইটি ব্যবস্থাপনায় বছরব্যাপী মাসিক লেকচার, বিশেষ লেকচার, সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিবছর ৩ জানুয়ারি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয় এবং এ উপলক্ষ্যে সোসাইটি দেশি/বিদেশি নামকরা পন্ডিতকে ফাউন্ডেশন ডে বক্তৃতা দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

এশিয়াটিক সোসাইটির একটি নিজস্ব সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। এতে ২৩ হাজারের মতো গ্রন্থ, জার্নাল, পাণ্ডুলিপি এবং অন্যান্য গবেষণা সামগ্রী রয়েছে। দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংগ্রহ বিশেষায়িত প্রকৃতির কারণে, গ্রন্থাগারটি শিক্ষাবিদ এবং গবেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রেফারেন্স গ্রন্থাগারে পরিণত হয়েছে। সোসাইটির সদস্য, ছাত্র এবং গবেষকরা এই গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারেন। পাঠকদের জন্য গ্রন্থাগারে ন্যূনতম খরচে গ্রন্থ ও জার্নালের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা ফটোকপি করার সুযোগ রয়েছে। এশিয়াটিক সোসাইটি ছাড়াও বিখ্যাত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাথে একটি জার্নাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম রয়েছে গ্রন্থাগারের।

সোসাইটির তত্ত্বাবধানে হেরিটেজ মিউজিয়াম নামে একটি জাদুঘর রয়েছে। ঢাকার নায়েব-নাজিমদের স্মৃতিবিজড়িত নিমতলী প্রাসাদ-বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাকে সংরক্ষণ করে তাতে ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীর সময়কালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। একে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার অন্যতম কেন্দ্র বলা যেতে পারে। সাধারণ দর্শকদের জন্য জাদুঘরটি প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সম্প্রতি হেরিটেজ মিউজিয়ামের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে (http://asheritagemuseumbd.org/)। যে কোনো স্থান থেকে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে হেরিটেজ মিউজিয়াম ভিজিট করা যাবে। এছাড়াও শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য সোসাইটি ৩৫০০ বর্গফুট আয়তনের একটি স্থায়ী আর্ট গ্যালারি নির্মাণ করেছে। এটি দেশি-বিদেশি সুপ্রসিদ্ধ শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে থাকে।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি অনুদান, সদস্যদের চাঁদা, সোসাইটি থেকে প্রকাশিত বই-পুস্তক বিক্রয়ের আয়, ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্জিত মুনাফা, অনুদান এবং সোসাইটির অডিটোরিয়াম, গেস্ট-হাউজ ও আর্ট গ্যালারি থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার অর্থ দিয়ে সোসাইটির গবেষণা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তথ্যবহুল ওয়েবসাইট (www.asiaticsociety.org.bd/trustfunds.html) রয়েছে। ঘরে বা কর্মস্থলে বসে শিক্ষানুরাগীগণ এ ওয়েবসাইট থেকে সোসাইটি সম্পর্কে তথ্য, বিভিন্ন প্রকাশনা, সাময়িকী ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।

৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁর গৌরবময় ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে একবিংশ শতকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নতুন গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামনের দিকে অগ্রসর হবে এই প্রত্যাশা সকলের। সাত দশকের গৌরবময় অগ্রযাত্রায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি দীর্ঘজীবী হউক।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কাউন্সিল সদস্য, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
ই-মেইল: s_rahman_khan@yahoo.com


সর্বশেষ সংবাদ