বইমেলায় বিক্রি কমা কীসের লক্ষণ?
- রাজু নূরুল
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ PM

এই শতাব্দীর গোড়ার দিকের কথা। তখন জাহাঙ্গীরনগরে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে আসা বিকেলের গাড়িতে চড়ে চলে আসতাম ঢাকায়। বাস থেকে শাহবাগে নেমে সোজা বইমেলায়। কিন্তু মেলায় ঢোকা এত সহজ ছিল না। কখনো কখনো এমনও হতো যে, মেলায় ঢোকার লম্বা সারি চারুকলার উল্টো দিকে এসে লাগতো। তারপর পায়ে পা মিলিয়ে ঘণ্টাব্যাপী লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় ঢোকার যে উচ্ছ্বাস, এখনো চোখ বন্ধ করলে অনুভব করতে পারি।
মেলায় ঢুকেই টের পেতাম নতুন বইয়ের গন্ধ, স্টল সাজানোর ব্যস্ততা, আর পাঠকদের চোখে অপার কৌতূহল—সব মিলিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। লেখক, প্রকাশক, পাঠক—সবাই যেন একই সুতোয় গাঁথা। কেউ প্রিয় লেখকের নতুন বইয়ের জন্য অপেক্ষা করছে, কেউ আবার পুরোনো ক্লাসিকের খোঁজে বেরিয়েছে। মেলায় প্রবেশ করলেই কানে ভেসে আসতো সাহিত্যপ্রেমীদের কথোপকথন—‘এবারের বইগুলো কেমন হলো?’, ‘কোন প্রকাশনীর বই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়?’ কিংবা ‘তোমার প্রিয় লেখকের নতুন উপন্যাস এসেছে কি?’ বই মেলায় দেখা হতো প্রিয় সব মুখদের। হোক লেখক, কবি, সাহিত্যিক কিংবা বহুদিন দিন দেখা না হওয়া কোনো বন্ধুর। বিকেল গড়াতেই বইমেলার পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠতো। আকাশে লালচে আলো, মানুষের পদচারণায় মুখর প্রাঙ্গণ, মঞ্চে বই উন্মোচনের আয়োজন, পাশেই কবিতা পাঠের আসর—সবকিছু মিলিয়ে এক স্বপ্নময় অনুভূতি। অনেকেই বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে বেড়ান, নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বেছে নেন পছন্দের বইটি। কোনো এক কোণে হয়ত কেউ একা বসে পছন্দের কবিতার পাতা উল্টাচ্ছেন, কেউ বা স্টলে দাঁড়িয়ে বইয়ের সারি থেকে খুঁজে নিচ্ছেন প্রিয় লেখকের নতুন উপন্যাস। আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, আলোচনা করছেন নতুন বই, সাহিত্য আর জীবন নিয়ে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা হলো লেখক ও পাঠকের সরাসরি সংযোগের এক দুর্লভ সুযোগ। সারা বছর যাঁদের লেখা পড়ে পাঠকেরা মুগ্ধ হন, ফেব্রুয়ারির এই মেলায় তাঁদের সামনাসামনি পাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, স্বাক্ষর প্রদান, পাঠক-লেখক আড্ডা—সব মিলিয়ে এখানে এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পত্রিকায় পড়তাম, প্রায় সব লেখকেরাও বলতেন, বইমেলার মতো এমন জায়গা আর নেই, যেখানে পাঠকের ভালোবাসা এত কাছ থেকে অনুভব করা যায়।
তাই বই মেলা আমাদের কাছে নিছক একটি মেলা নয়, এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আমাদের ভালোবাসার প্রতীক, একটি আবেগ, একটি সংস্কৃতি। ভাষার জন্য আত্মত্যাগের মাসে এই মেলার আয়োজন যেন আমাদের শেকড়ের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ। গোটা মেলা জুড়ে এমন এক আবহ সৃষ্টি করা হতো যে, এখানে এলে মনে হত, কেবল বই কেনার জন্য নয়, আমরা এসেছি আমাদের ভাষাকে নতুন করে অনুভব করতে, সাহিত্যকে ছুঁয়ে দেখতে।
কিন্তু সে সময় বেই কেনার মত টাকা ছিল না। গোটা মেলায় কয়েক চক্কর মেরে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ফিরে যেতাম ক্যাম্পাসে। যাওয়ার আগে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইটে একবার ঢু মারতাম। গেইট বরাবর একটা ফুট ওভারব্রিজ ছিল, ওটাকে কেন্দ্র করে বিশাল এক দোকান বসতো ফুটপাতে। মন দিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে প্রায় সোনা মিলতো। দারুণ সব ক্লাসিক বই পেয়ে যেতাম, দাম ১০ টাকা।
সেসব দিন পেরিয়ে এসেছি। এরপর প্রতিবছরই বই মেলায় গিয়েছি। ব্যাগ বোঝাই করে কিনেছি বই। সেসব বই নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছি, নানা ঢঙে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছি। ফেব্রুয়ারিতে সঞ্চয় করা বই সারা বছর ধরে একটু একটু করে পড়েছি। কাজের সূত্রে যেখানেই গেছি, তাক থেকে একটা বই আলতো করে ব্যাগে ঢুকিয়েছি। ফেব্রুয়ারির বই মেলা যেন পিঁপড়ের সারা বছরের খাবার সঞ্চয়ের মত।
শুধু পাঠক নয়, প্রকাশকদের জন্যও বইমেলা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। নতুন লেখকদের বই প্রকাশের সুযোগ বাড়ে, পাঠকের চাহিদা বোঝার ক্ষেত্র তৈরি হয়। বিশেষ করে তরুণ লেখকদের জন্য এটি এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। অনেক নতুন লেখক এখানে তাঁদের প্রথম বই প্রকাশের স্বপ্ন পূরণ করেন। অসংখ্য প্রকাশক সারা বছর ধরে এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন। আশা করেন যে, একটু লাভের মুখ দেখবেন।
কিন্তু ২০২৫ সালের একটা রিপোর্ট পড়ে মন ভারি হয়ে গেল। বণিক বার্তা নামের দৈনিক পত্রিকাটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, এবারের বই মেলায় স্মরণকালের সবচেয়ে কম বিক্রি হয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রথমা প্রকাশনের বই বিক্রি কমেছে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স বই বিক্রি করেছে ৬৫ লাখ টাকার। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৯৫ লাখ টাকার। আদর্শ প্রকাশনী বই বিক্রি করেছে ৩০ লাখ টাকার, গত বছরে যা ছিল ৬০ লাখ টাকা। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের (ইউপিএল) এবারের বিক্রি ৩০ লাখ টাকা। গত বছর ছিল ৬০ লাখ টাকা। বাতিঘরের এবারের বিক্রি ৩৭ লাখ টাকা। গত বছর ছিল ৩৯ লাখ টাকা। অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্সের এবারের বিক্রি ৬ লাখ টাকা, গত বছর হয় ১১ লাখ টাকা। জিনিয়াস পাবলিকেশন্সের এ বছরের বিক্রি ৮ লাখ, গত বছর হয় ১৫ লাখ টাকার। কাকলী প্রকাশনীর এ বছরের বিক্রি ২৬ লাখ টাকা, গত বছর ছিল ৪৬ লাখ। সালাউদ্দিন বইঘরের এবারের বিক্রি ৪ লাখ টাকা, গত বছর ছিল ১০ লাখ। ইত্যাদি প্রকাশনী ৫০ শতাংশ কম বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন খান কাজল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এবার মেলায় শেষ দিকে দর্শক ও ক্রেতার সংখ্যা দুটোই কমেছে। আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া, বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া বইমেলায় প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করেছে ৬১ লাখ টাকার বই। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার।
অথচ গত বছরের ৫ আগস্ট, দীর্ঘদিন চেপে থাকা স্বৈরশাসকের পতনের পর এবারের মেলায় স্বত:স্ফূর্ত জনসমাগম হওয়ার কথা ছিল। কথা ছিল বই বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। কিন্তু কি এমন হলো যে, বিক্রির পরিমাণ না বেড়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলো? জনসমাগমই বা কম হলো কেনো?
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এবার মেলায় বই প্রকাশের সংখ্যা কমেছে। বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে বই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। ক্রমে বিশ্বাসযোগ্য ও মানসম্মত সেবা পাওয়ার কারণে মানুষ সেসব সাইট থেকে বই কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রকাশকেরাই বলেছেন যে, পাইরেসি বইয়ের বাজারে একটা বড় সমস্যা। প্রতিদিন নতুন নতুন সাইট তৈরি হচ্ছে, সেসব সাইটে আপলোড হয়ে যাচ্ছে পিডিএফ। অনলাইনে বিনামূল্যে বই পাওয়া যাচ্ছে সেসব বই। ফলে ছাপা বইয়ের জনপ্রিয়তা কমছে। এটাও ঠিক যে, বাংলাদশের মত দেশগুলোতে, যেখানে ইন্টারনেটে জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়ছে, সেখানে পাঠক এবং পড়ুয়া মানুষের সংখ্যাও কমছে। ইউটিউব, ফেসবুক বা ইন্টাসগ্রামে রিলস, শর্ট ভিডিও ও নানা ধরনের কন্টেন্টের ভিড়ে বই পড়ার সময় কোথায়? ইন্সটাগ্রাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসবের প্রভাবে লোকজন পড়তে চায় না। ফলে একদিকে যেমন বইয়ের মান কমেছে, অন্যদিকে পাঠকও কমেছে।
কিন্তু উপরে যে সব কারণ বললাম, সেসব তো গত এক বছরে হুট করে ঘটে যায়নি। এটি বহুদিন ধরেই চলছে। তাহলে এক বছরের মাথায়, বই বিক্রি এতটা কমে গেলো কেনো? আমার ধারণা, তার একটি বড় কারণ এবারের মেলাকে বারোয়ারি মেলায় পরিণত করা হয়েছে। পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়া মারফত মানুষ জেনেছে, কীভাবে বেই মেলাকে বারোয়ারি মেলায় পরিণত করা হয়েছে। মেলার ভেতরে শাড়ি-চুরি-কসমেটিক-ঝালমুড়ি বিক্রি হয়েছে। সারি সারি খাবারের দোকান বসানো হয়েছে।
মেলার শুরুতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও মেলাকে জনবিমুখ করে তোলার পেছনে দায়ী। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ডাস্টবিনে ব্যবহার করে সেখানে ময়লা ফেলার দৃশ্য ভাইরাল করে মেলাকে বিতর্কিত করা হয়েছে। কোনো অ্যাক্টিভিসস্ট কর্তৃক নানা ধাঁচে প্রতিবাদ আর রাস্ট্রের কর্তাব্যক্তির প্রতিবাদ এক হবে না। যিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসেন, তখন থেকে তিনি আর অ্যাক্টিভিসস্ট থাকেন না। সে রাষ্ট্রে বসবাস করা প্রতিটি নাগরিকের অভিভাবক। বইয়ের পাঠক মাত্রই এই রুচিহীন কাজের নিন্দা জানাবে। সেই রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা যে মেলা বর্জন করতে তাতে আর সন্দেহ কি? এ কাজটি ছিল একটি ইনক্লুসিভ মেলা আয়োজনের অন্তরায়। সারা মাস জুড়ে বই মেলায় মবসৃষ্টিকারীরা মহড়া দিয়েছে। দেখা গেছে তারা আয়োজনকারীদের বি টিম হিসেবে কাজ করেছে। তসলিমা নাসরিনের বই প্রকাশের পর একজন প্রকাশককে হেনস্তা করার পর তাকে মবকারীরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, সেই প্রকাশনা আর খোলেনি।
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে সেটা আবার বাতিল করা হয়েছে। যাদের নাম ঘোষণা দিয়ে আবার বাতিল করা হলো, তারা কোনোভাবেই নিন্দিত কোনো ব্যক্তি নন। আবার রাষ্ট্রের মূল একটি প্রতিষ্ঠানের একটা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে আবার বাতিল মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ইস্যুতে নারী সমাজকে বিগড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার প্রচলিত অর্থে বই বলতে যা বুঝায়, সেটা বাংলাদেশে প্রগতিশীল মানুষজনই কিনে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি ধর্মীয় বই নিয়ে এমন এক উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়েছে যে, এটি বই মেলার প্রচলিত ধারাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ধর্মীয় বই বিক্রিকে উৎসাহ আর ভিন্নমতের বই বিক্রিকে মব সৃষ্টিকারী কর্তৃক দমন, বই মেলার দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক। সব মিলিয়ে বই মেলা যেন একটা দখলের রাজত্বে পরিণত হয়েছিল। আগে এক শ্রেণীর মানুষের কাছে এক রকমভাবে দখলে ছিল, এবার মালিকানা পাল্টে অন্য আরেক দলের কাছে গেলো।
বইমেলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিশুদের প্রতি এর বিশেষ আকর্ষণ। বিগত বছরগুলোতে শিশুদের জন্য নানা আয়োজন ছিল, ছিল জনপ্রিয় কিছু স্টল। যেখানে তারা খুঁজে পায় তাদের কল্পনার জগৎ। ছোটদের রঙিন বই, গল্পের বই, কমিকস—এসবের প্রতি তাদের আগ্রহ থাকে তুমুল। বাবা-মায়ের হাত ধরে তারা প্রথমবার বইমেলায় আসে, ধীরে ধীরে বইয়ের সঙ্গে এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়। এবার সেসবের স্বল্প উপস্থিতি ছিল।
একুশে বইমেলার শিকড় আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে যে ভাষার অধিকার আদায় করেছিল, সেই ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বইমেলার সূচনা হয়। এরপর ধীরে ধীরে এটি রূপ নেয় বাঙালির এক আবেগঘন উৎসবে।
এখন মেলা শুধু বাংলা একাডেমির চত্বরেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ছড়িয়ে পড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে। প্রতিদিন হাজার হাজার পাঠক, সাহিত্যপ্রেমী আর সংস্কৃতিবান মানুষ এখানে ভিড় জমায়, হাতে থাকে বইয়ের তালিকা, চোখে থাকে স্বপ্ন। কারণ বইমেলা মানে শুধু বই কেনা নয়, এটি নতুন চিন্তার, নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্মস্থল। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, ভাষার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে বইমেলা টিকে থাকবে, যতদিন থাকবে বাংলা ভাষা, ততদিন থাকবে এর প্রতি আমাদের এই অফুরন্ত আবেগ!
তাই, আমরা যেন সব বিতর্কের বাইরে রেখে এই বইমেলাকে উপভোগ করি। বর্তমান সংকটে, যখন জাতি ক্রমশ বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তখন যদি ফেব্রুয়ারির এই মেলাতেও আগ্রহ কমে যায়, তবে আমাদের যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করা কঠিন হবে।
লেখক: লেখক, অনুবাদক ও গবেষক
যোগাযোগ: raju_norul@yahoo.com