শিক্ষক সংকট কাটানোর উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রয়োজন সংসদ পুনর্গঠন

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © সংগৃহীত

শিক্ষক সংকটে গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এ চরম সংকট কাটাতে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষে পরিনত করার পরিকল্পনা ছিল। এ জন্য প্রস্তুত হয়েছিল আইনের খসড়াও। তবে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে এ রূপান্তর বা শিক্ষক সংকট কাটানোর দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকারের নেতৃত্বে সংসদ পুনর্গঠন। 

জানা গেছে, এ মুহূর্তে দেশের ৩৩ হাজারের কিছু বেশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজারের বেশি এন্ট্রি লেভেলের সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য। সে পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সাড়ে ১৯ হাজার নতুন শিক্ষক চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করা শুরু করেছেন। তবে এ নিয়োগের পরও খালি থেকে যাবে ৭৫ হাজারে বেশি পদ। শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ অধ্যয়নরত থাকা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান এ সংকট সহসা কেটে যাওয়ার কোন আশাও নেই। 

আরও পড়ুন : শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে শিক্ষা, সহসা নিরসনের আশাও নেই 

এ মুহূর্তে দেশের ৩৩ হাজারের কিছু বেশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজারের বেশি এন্ট্রি লেভেলের সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য। সে পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সাড়ে ১৯ হাজার নতুন শিক্ষক চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করা শুরু করেছেন। তবে এ নিয়োগের পরও খালি থেকে যাবে ৭৫ হাজারে বেশি পদ। শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ অধ্যয়নরত থাকা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান এ সংকট সহসা কেটে যাওয়ার কোন আশাও নেই। 

গত কয়েকবছর ধরেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধুঁকছে শিক্ষক সংকটে। ২০২১ সালের শুরুতে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য ছিলো। তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা ছিলো ৬৮ হাজার। গত বছর চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের পরও থেকে যায় সংকট। চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ৭৩৬টিতে। 

শিক্ষক সংকট কাটাতে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ৯৬ হাজার শিক্ষক পদ পূরণে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কয়েক হাজার প্রার্থীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বহু নিবন্ধিত প্রার্থী এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনই করতে পারেনি। তাই মাত্র ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছিলেন। এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রার্থী না পাওয়ায় বিপুল সংখ্যক পদ খালিই থেকে গেছে।

শিক্ষক সংকট কাটাতে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ৯৬ হাজার শিক্ষক পদ পূরণে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় কয়েক হাজার প্রার্থীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বহু নিবন্ধিত প্রার্থী এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনই করতে পারেনি। তাই মাত্র ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছিলেন। এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রার্থী না পাওয়ায় বিপুল সংখ্যক পদ খালিই থেকে গেছে।

আরও পড়ুন : সাড়ে ১৯ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ, যোগদান ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে

২০১৫ সাল থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট চলছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনে এনটিআরসিএকে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষে পরিনত করার পরিকল্পনা করেছিল। সে জন্য প্রস্তুত হয়েছিল আইনের খসড়া। কিন্তু সরকারের পট পরিবর্তন ও সংসদ ভেঙে যাওয়ায় সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন এখনই সম্ভব নয়। 

এনটিআরসিএকে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষে রূপান্তরের যে প্রক্রিয়া চলছিল তা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা  ইতোমধ্যেই নতুন আইনের খসড়া করেছি। সেটিতে জনমত যাচাই ও পরামর্শ গ্রহণ চলছে। তবে বর্তমানে কোন সংসদ নেই। সংসদ না থাকায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় নতুন আইন পাসের সম্ভাবনাও নেই। তবে এ সময়টি আমরা নতুন আইনটি যাচাই বাছাই ও আরও ভাল পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ পাবো। যা শিক্ষক সংকট কাটানোর জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে

এনটিআরসিএকে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষে রূপান্তরের যে প্রক্রিয়া চলছিল তা অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল্লাহিল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা  ইতোমধ্যেই নতুন আইনের খসড়া করেছি। সেটিতে জনমত যাচাই ও পরামর্শ গ্রহণ চলছে। তবে বর্তমানে কোন সংসদ নেই। সংসদ না থাকায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় নতুন আইন পাসের সম্ভাবনাও নেই। তবে এ সময়টি আমরা নতুন আইনটি যাচাই বাছাই ও আরও ভাল পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ পাবো। যা শিক্ষক সংকট কাটানোর জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। 

আরও পড়ুন : থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, যেভাবে হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ

একই কথা জানালেন এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আইন পাস কিংবা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কিছুই এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আইন পাস করতে সংসদে তুলতে হয়। যেহেতু সংসদ নেই, কাজেই এটি কবে পাস হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নির্বাচান কবে হবে তা নিয়ে শনিবার মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা যৌক্তিক সময়ে সব কিছুর সমাধান করে দেশকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রাজনৈতিক দলগুলো কাছে।


সর্বশেষ সংবাদ