বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৬ AM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২ AM
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পদই স্কুল পর্যায়ের। কলেজ পর্যায়ে কিছু বিষয়েও পদ শূন্য রয়েছে। তবে সংখ্যা কম। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
বেসরকারি শিক্ষক ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে সবশেষ শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সে সময় প্রায় ৬৮ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাত্র ২৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আরও প্রায় ৩০ হাজার পদ শূন্য হয়েছে। সে হিসেবে ৭০ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে।
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইরেজিস্ট্রেশন শুরু করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ। যে প্রতিষ্ঠানগুলোর আগে থেকেই ইরেজিস্ট্রেশন রয়েছে তাদের তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। আগামী সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানের ইরেজিস্ট্রেশন শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: বছরে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা এনটিআরসিএ’র
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬০ থেকে ৭০ হাজারের মতো পদ ফাঁকা রয়েছে। এই পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করা হবে। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসেই নতুন করে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
জানা গেছে, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে প্রতিবছর তিনবার শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। এটি বাস্তবায়ন হলে তিনবার শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করে তিনবার নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক সংকট দূর করতে আমরা প্রতিবছর তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তখন আর শিক্ষক সংকট থাকবে না।’
আরও পড়ুন: বদলি নাকি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি— কোনটি আগে জানাল এনটিআরসিএ
এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ২০১৫ সালে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পায় এনটিআরসিএ। গত ৮ বছরে মাত্র চারটি বড় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পেরেছে সংস্থাটি। দীর্ঘ সময় পর পর গণবিজ্ঞপ্তি হওয়ায় শিক্ষক সংকট দূর করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় বছরে তিনবার গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ করতে চায় সংস্থাটি।
ওই সূত্র আরও জানায়, বছরে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে নিয়েছেন। খুব দ্রুত এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হতে পারে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশে দীর্ঘ সময় লাগে। আমরা যখন চূড়ান্ত সুপারিশ করি তখন নতুন করে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়। সেজন্য প্রতিবছর তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনার কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। এখন বিষয়টি তাদের হাতে। এনটিআরসিএ’র আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা তারা নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করবে নাকি আলাদা নির্দেশনা জারি করবে সেটি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’