১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নতুন সময় জানাল এনটিআরসিএ

চাকরিপ্রার্থী ও এনটিআরসিএ
চাকরিপ্রার্থী ও এনটিআরসিএ  © ফাইল ছবি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সাড়ে ১৮ লাখের বেশি প্রার্থী নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেশ কিছু কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা রোজা শুরুর আগেই পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই। এক্ষেত্রে মার্চের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।’

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনের প্রশ্ন ছাপানো হবে বিজি প্রেস থেকে। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে প্রশ্ন ছাপানো নিয়ে ব্যস্ত থাকবে বিজি প্রেস। ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তারা নিবন্ধনের প্রশ্ন ছাপানোর কাজ শুরু করতে পারবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর প্রশ্ন ছাপাতে অন্তত ২০ দিন সময় প্রয়োজন হবে। এছাড়া ট্রেজারিতে প্রশ্নের ট্রাঙ্ক রাখাসহ বেশ কিছু কারণে ফেব্রুয়ারিতে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারিতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটি হয়তো সম্ভব হয়ে উঠবে না। তবে রোজা শুরুর আগেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।’

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজন করার।’ 

এর আগে গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।


সর্বশেষ সংবাদ