এনটিআরসিএর সামনে অবস্থানকারীদের ব্যানার কেড়ে নিল পুলিশ
- টিটিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ১২:২১ PM , আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১২:২১ PM
পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকারী চাকরিপ্রার্থীরা। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রতিষ্ঠানটির সামনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করতে নির্দেশনা দেয়। পরে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ।
রবিবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি আদায়ে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ইস্কাটন গার্ডেন রোড।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এনটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির ক্রটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করতে হবে। কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে মেধায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।
সালাউদ্দিন নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, প্রার্থীদের মেধাক্রম, পছন্দক্রম ও গণবিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বর নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের সুপারিশ করতে হবে। প্রকাশিত ক্রটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান করে দ্রুত নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের অবস্থান
তারা এনটিআরসিএ কর্তৃক ক্রটিপূর্ণ ফলাফলের দ্রুত সমাধান চান। স্লোগানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যরাও। তবে তাদের এ কর্মসূচি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল এনটিআরসিএ কার্যালয়ে যান। তাদের সঙ্গে বলেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছেন তাদের অনেকেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাদের আবেদন যাচাই করা হচ্ছে, এখনো এটা প্রক্রিয়াধীন। পরে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, কর্মসূচিতে বাধার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা ভিআইপি এলাকা, এর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। তাই আপনারা এখানে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবেন না। প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করেন।’
এনামুল কাদের খান বলেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ইনডেক্সধারী। সেসব প্রার্থীদের রোল নম্বরগুলো ব্লক করে রাখা হয়েছিল, সে কারণে সমস্যা হতে পারে। দুই একটিতে সমস্যা থাকতে পারে। আবেদনগুলো ফের যাচাই-বাছাই করব।